বাংলাদেশে সেক্যুলারিজমের দাবি তোলে নাস্তিকরা, আর সেই নাস্তিকদের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে জামার্নি। আপনাদের জেনে রাখা দরকার বতর্মানে জার্মানি সরকারে ক্ষমতাসীন দলটির নাম ক্রিষ্টিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি। দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান তথা চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বলেছিলো- “জার্মানির মসজিদগুলোর মিনার কিছুতেই গির্জার মিনার থেকে বড় হতে পারবে না।”
একটু চিন্তা করে দেখুন তো, কিছুদিন আগে নোয়াখালীতে হিন্দুরা একটা মূর্তি মানায় যা প্রায় ৭ তলা উচু ছিলো। এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যদি অবজেকশণ জানাতো বাংলাদেশে কোন মন্দিরের মূর্তি মসজিদের থেকে উচু হতে পারবে না, তবে বিষয়টি শুনতে কেমন শোনাতো ??
আসলে অমুসলিমরা ইসলাম বিদ্বেষটাকে স্বাভাবিক করে ফেলে। দেখবেন ভারতে মাঝে মাঝে হিন্দু নেতারা বিভিন্ন বয়ান দেয়, যেমন- “মুসলমানদের জনসংখ্যা হ্রাস করতে বাধ্যতামূলক জন্মনিয়ন্ত্রন করাতে হবে”, “মুসলমানরা হযরত মহানবীকে মানতে পারবে না, রামকে মানতে হবে”, “সব মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানো হবে”, “মুসলিম নারীদের লাশ কবর থেকে তুলে ধর্ষণ করুন”, “কুকুর মারা গেলে খারাপ লাগে, মুসলিম মারা গেলে খারাপ লাগে না”, হিন্দুরা এত জঘন্য কথা বলার পরও ক্ষমা চাওয়ার কথা চিন্তা করে না। কারণ তারা ধরে নিয়েছে- মুসলমানদের গালি দেবোই, এটাই স্বাভাবিক। কোন হিন্দুও এই ব্যাপারগুলো নিয়ে অনুতপ্ত নয়। আবার মুসলমানরাও এগুলো নিয়ে অত প্রতিবাদ করে না। কারণ তারা ধরে নিয়েছে হিন্দুরা তাদের গালি দেবে এটাই তাদের নিয়তি। কিন্তু মুসলমানরা যদি কিছু বলে, তখন কিন্তু ঘটে যায় উল্টো। যেমন- সম্প্রতি বাংলাদেশের এক মন্ত্রী হিন্দুদের মালউন বলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সাথে সাথে সবাই ক্ষোভে ফেটে পড়ছে। মনে হচ্ছে বিরাট অপরাধ করে ফেলেছে। যদিও তার সঠিক কোন প্রমাণ নেই। আবার রসুরাজ তার আ্যাকাউন্ট ইসলাম বিরোধী পোস্ট করেছে, সেটার নাকি কোন দলিল নেই। অদ্ভূত।
আসলে আমি এগুলো নিয়ে হিন্দুদের মোটেই দোষ দেই না। এগুলো মুসলমানদের দোষ। মুসলমানরা অনেক কিছু বুঝতেই পারে না। যেমন নাসিরনগরের ঘটনা নিয়ে অনেক ইসলামী দল বলছে- এগুলো আওয়ামীলীদের অন্তর্কোন্দল, এটার মধ্যে যাওয়া ঠিক হবে না। বরং আওয়ামীলীগের ঐ সমস্ত নেতাদের বিরোধীতা করতে গিয়ে হিন্দুদের পক্ষ নেওয়ার ঘটনাও কম নয়। কিন্তু এখানে আওয়ামীগ ও হিন্দুদের অবস্থানটা তারা বুঝতে পারেনি। বাস্তবতা হচ্ছে-
হিন্দুদের পুষে রাখে আওয়ামীলীগ,
আওয়ামীলীগকে পুষে রাখে হিন্দুত্ববাদী ভারত।
অর্থাৎ হিন্দুদের পুষে রাখে ভারত।
তারমানে হিন্দুদের উপর আঘাত মানে ভারতের উপর আঘাত। বাংলাদেশে যতদিন হিন্দু আছে, ততদিন তার উছিলা দিয়ে আওয়ামীলীগের নাকে একটা রশি আটকে রাখতে পারবে ভারত, আবারও আওয়ামীলীগও ক্ষমতায় থাকতে ভারতকে তোষণ করতে চাইবে, আর সে জন্য চলবে হিন্দুতোষণ ও হিন্দুপোষণ। হিন্দুদের গায়ে হাত পরায় চলে এসেছে ভারত। ভারত আওয়ামলীগকে বলবে, আমাকে আরো সুবিধা দাও নয়ত আমি তোমাকে হিন্দু দমনে অভিযুক্ত করবো। ফলে আওয়ামীলীগ আরো মুসলিম দমন করবে, আর হিন্দু তোষণ করবে।
এত সমস্যার মূল সমস্যা মুসলমানরা। কারণ তারাই হিন্দুদের তোষনের প্লট তারা তৈরী করে দিয়েছে। সাধারণ মুসলমানের মনেই রয়েছে হিন্দু মানেই ভালো, হিন্দু মানেই সৎ, হিন্দু মানেই উপকারী। কিন্তু হিন্দু মানেই যে বিশ্বাসঘাতক এবং বিদেশী শত্রুর পৃষ্ঠপোষক এটা চিন্তা করার কোন চেষ্টাই মুসলমানরা করেনি।

Kommentarer

Populära inlägg i den här bloggen

সি আই এ মোসাদ এর প্রজেক্ট হলো ইনসেস্ট তথা বাবা-মেয়ে,মা-ছেলে, ভাই-বোন অবৈধ সম্পর্ককে প্রমোট করা।

পতিতা ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ এবং দালাল মিডিয়া

বাংলাদেশে পতিতাদের সংগঠনগুলোই বলছে- বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতাদের সংখ্যা ৬৪% এবং তারা আরো জানাচ্ছে, ৯০% পতিতা তাদের দেহব্যবসা শুরু করে শিশু বয়স থেকেই।