মুসলমানদের পরাজয়ের ধারাটা বুঝতে পেরেছেন ? আমি ধরিয়ে দিচ্ছি- (মুসলামানরা এই মূল তত্ত্ব যদি একটু ফলো করতে পারে, আশাকরা যায় ৯০% জয়লাভ নিশ্চিত)
মুসলমানদের পরাজয়ের ধারাটা বুঝতে পেরেছেন ? আমি ধরিয়ে দিচ্ছি-
(মুসলামানরা এই মূল তত্ত্ব যদি একটু ফলো করতে পারে, আশাকরা যায় ৯০% জয়লাভ নিশ্চিত)
--------------------------------------------------------------------
ধাপ:১- প্রথমে ইসলামী বিষয় নিয়ে অবমাননা করলো হিন্দুরা।
ধাপ:২- মুসলমানরা সব এক হয়ে তার প্রতিবাদ করলো । পুরো পরিস্থিতি মুসলমানদের পক্ষে। তবে এখনও মুসলমানদের দাবি দাওয়া পূরণ হয় নি। আরো আন্দোলন করতে হবে।
ধাপ:৩- মুসলমানদের নাম দিয়ে একটি পক্ষ হিন্দুদের মন্দির ভাংচুর করলো।
ধাপ:৪- মিডিয়াতে ব্যাপক ফলাও হলো হিন্দুদের মন্দির ভাংচুরের বিষয়টি। যদিও ইসলাম অবমাননার বিষয়টি তারাই লুকিয়ে রেখেছিলো।
ধাপ-৫- এটা হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী টার্নিং পয়েন্ট। মুসলমানরা মিডিয়া দ্বারা বিভ্রান্ত হলো। তারা সবাই মন্দির ভাংচুরকারীর বিচার দাবি করতে থাকলো, ভুলে গেলো ইসলাম অবমাননার বিষয়টি।
ধাপ-৬: সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের সেন্টিমেন্ট যেহেতু ঘুরে গেছে, সেই সুযোগে সবাই এবার মুসলমানদের ঘাড়ে চেপে ধরলো। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নাসিরনগরে ৪৪ জন মুসলমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (http://bit.ly/2ec59VK)
ধাপ-৭: মিডিয়া এবার শুরু করলো ইসলাম অবমাননাকারী রসুরাজের পক্ষ নিয়ে বলা (http://bit.ly/2fH3nNp)। আশা করা যায় খুব শিঘ্রই সেও মুক্তি পাবে। কারণ মুসলমানদের ঐ বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করার শক্তি আর অবশিষ্ট নেই।
মোট ধাপ ৭টি। কিন্তু এই ৭টি ধাপ যদি আপনি মনে রেখে শিক্ষা নিতে পারেন, আশাকরা যায় জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারবেন। মুসলমানরা মানসিক দৃঢ়তার দিক থেকে খুব দুর্বল। কিন্তু মুসলমানদের শত্রুরা কিন্তু মোটেও দুর্বল নয়, বরং অনেক শক্তিশালী। আর যেহেতু বর্তমান যুগটাই হচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের যুগ, তাই এই মনস্তাত্ত্বিক হারের কারণেই মুসলমানদের হার হচ্ছে।
যেমন ধরুণ এখনে দুইটি পক্ষ-
প্রথম পক্ষ - মুসলমান
দ্বিতীয় পক্ষ - হিন্দু, মিডিয়া ও রাজনৈতিক দল
বিষয়টি একটু চিন্তা করে দেখুন, কোন ঘটনায় যখন মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে কিংবা ইসলাম অবামাননা হচ্ছে তখন কি-
হিন্দুরা তার প্রতিবাদ করছে ?
মিডিয়া তার প্রতিবাদ করছে ?
রাজনৈতিক নেতারা প্রতিবাদ করছে ?
সোজা উত্তর করছে না। কিন্তু হিন্দু-মিডিয়া-রাজনীতিকদের উপর যখন আক্রমণ হচ্ছে তখন মুসলমানরা নিজ পক্ষ ভুলে তাদের হয়ে প্রতিবাদ করছে। ভুলটা এখানেই।
যেমন রসুরাজ যখন ইসলাম অবমাননা করলো তখন কোন হিন্দু, কোন মিডিয়া কিংবা আওয়ামীলীগের শীর্ষ কোন নেতা তার প্রতিবাদ করেনি। কিন্তু মন্দির ভাঙার পর সকল মুসলমান তার প্রতিবাদ করলো। ভুলটা এখানেই হলো এবং মুসলমাদের মনস্তাত্ত্বিক পরাজয় ঘটলো। ফলে ফুল ফিল্ড মুসলমানদের হাত থেকে শত্রুপক্ষ নিয়ে গেলো।
আমি আবার বলছি, এই যুগ অস্ত্রপাতি দিয়ে লড়াইয়ের যুগ নয়, এই যুগ মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের যুগ। আপনি মনস্তাত্ত্বিক ভাবে শক্ত থাকলেন তবে জিতে গেলেন, কিন্তু দুর্বল হয়ে গেলেন ব্যস ধরা খেলেন। আপনি বুঝতেছেন মিডিয়া আপনার শত্রু, কিন্তু সেই মিডিয়া যখন মন্দির ভাঙ্গার ঘটনাকে হাইলাইট করলো তখন আপনি কেন কৌশলের কাছে ধরা গেলেন ?? এখন আপনার পাপের ফসল আপনাকেই বহন করতে হচ্ছে, মুসলমানদের কৌশলগত পরাজয় ঘটছে।
এখান থেকে আপনাদের শিক্ষা নিতে হবে- পঞ্চম ধাপের দিকে খেয়াল রাখুন। মানে মিডিয়ার কথায় কিছুতেই ভোলা যাবে না। তারা যতই ইনিয়ে বিনিয়ে আপনার মনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, সেখানে ভুলে যাবেন না। মানবতার বুলি ভুলে যান। তারা কিন্তু মুসলমানদের বেলায় মানবতার কথা মনে করে না। ইরাক, আফগানিস্তান ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, মায়ানমারে যখন মুসলমান মারে তখন তাদের মানবতার ক্ষতি হয় না। কিন্তু তাদের উপর আঘাত হলেই মানবতা বুলিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। আপনি সেই কৌশলে ধরা খেয়ে বসেন। মনে রাখবেন এখন যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের ময়দানে যদি আপনি মানবতার ধার ধরে বসে থাকেন তবে প্রতিপক্ষকে কখনই আঘাত করতে পারবেন না।
তাই যেভাবে শুরু হয়েছিলো সেখানেই দৃঢ়চিত্ত থাকুন।
“মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে, বাড়িঘর ভাঙ্গা হয়েছে, অমুককে মারা হয়েছে, অমুক হিন্দু টিচারকে কানধরে উঠবস করানো হয়েছে, তো কি হয়েছে ??? তার যে ক্ষতি হয়েছে তার থেকে ঢের ক্ষতি হয়েছে ইসলাম অবমাননায়। আগে আমারটার বিচার শেষ করো, তারপর চিন্তা করা যাবে তার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আমি কি বলবো।”
মূল তত্ত্ব শিখিয়ে দিলাম, যদি এতটুকু ফলো করতে পারেন, আশাকরা যায় জয়লাভ আপনার ৯০% নিশ্চিত।
(মুসলামানরা এই মূল তত্ত্ব যদি একটু ফলো করতে পারে, আশাকরা যায় ৯০% জয়লাভ নিশ্চিত)
--------------------------------------------------------------------
ধাপ:১- প্রথমে ইসলামী বিষয় নিয়ে অবমাননা করলো হিন্দুরা।
ধাপ:২- মুসলমানরা সব এক হয়ে তার প্রতিবাদ করলো । পুরো পরিস্থিতি মুসলমানদের পক্ষে। তবে এখনও মুসলমানদের দাবি দাওয়া পূরণ হয় নি। আরো আন্দোলন করতে হবে।
ধাপ:৩- মুসলমানদের নাম দিয়ে একটি পক্ষ হিন্দুদের মন্দির ভাংচুর করলো।
ধাপ:৪- মিডিয়াতে ব্যাপক ফলাও হলো হিন্দুদের মন্দির ভাংচুরের বিষয়টি। যদিও ইসলাম অবমাননার বিষয়টি তারাই লুকিয়ে রেখেছিলো।
ধাপ-৫- এটা হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী টার্নিং পয়েন্ট। মুসলমানরা মিডিয়া দ্বারা বিভ্রান্ত হলো। তারা সবাই মন্দির ভাংচুরকারীর বিচার দাবি করতে থাকলো, ভুলে গেলো ইসলাম অবমাননার বিষয়টি।
ধাপ-৬: সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের সেন্টিমেন্ট যেহেতু ঘুরে গেছে, সেই সুযোগে সবাই এবার মুসলমানদের ঘাড়ে চেপে ধরলো। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নাসিরনগরে ৪৪ জন মুসলমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (http://bit.ly/2ec59VK)
ধাপ-৭: মিডিয়া এবার শুরু করলো ইসলাম অবমাননাকারী রসুরাজের পক্ষ নিয়ে বলা (http://bit.ly/2fH3nNp)। আশা করা যায় খুব শিঘ্রই সেও মুক্তি পাবে। কারণ মুসলমানদের ঐ বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করার শক্তি আর অবশিষ্ট নেই।
মোট ধাপ ৭টি। কিন্তু এই ৭টি ধাপ যদি আপনি মনে রেখে শিক্ষা নিতে পারেন, আশাকরা যায় জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারবেন। মুসলমানরা মানসিক দৃঢ়তার দিক থেকে খুব দুর্বল। কিন্তু মুসলমানদের শত্রুরা কিন্তু মোটেও দুর্বল নয়, বরং অনেক শক্তিশালী। আর যেহেতু বর্তমান যুগটাই হচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের যুগ, তাই এই মনস্তাত্ত্বিক হারের কারণেই মুসলমানদের হার হচ্ছে।
যেমন ধরুণ এখনে দুইটি পক্ষ-
প্রথম পক্ষ - মুসলমান
দ্বিতীয় পক্ষ - হিন্দু, মিডিয়া ও রাজনৈতিক দল
বিষয়টি একটু চিন্তা করে দেখুন, কোন ঘটনায় যখন মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে কিংবা ইসলাম অবামাননা হচ্ছে তখন কি-
হিন্দুরা তার প্রতিবাদ করছে ?
মিডিয়া তার প্রতিবাদ করছে ?
রাজনৈতিক নেতারা প্রতিবাদ করছে ?
সোজা উত্তর করছে না। কিন্তু হিন্দু-মিডিয়া-রাজনীতিকদের উপর যখন আক্রমণ হচ্ছে তখন মুসলমানরা নিজ পক্ষ ভুলে তাদের হয়ে প্রতিবাদ করছে। ভুলটা এখানেই।
যেমন রসুরাজ যখন ইসলাম অবমাননা করলো তখন কোন হিন্দু, কোন মিডিয়া কিংবা আওয়ামীলীগের শীর্ষ কোন নেতা তার প্রতিবাদ করেনি। কিন্তু মন্দির ভাঙার পর সকল মুসলমান তার প্রতিবাদ করলো। ভুলটা এখানেই হলো এবং মুসলমাদের মনস্তাত্ত্বিক পরাজয় ঘটলো। ফলে ফুল ফিল্ড মুসলমানদের হাত থেকে শত্রুপক্ষ নিয়ে গেলো।
আমি আবার বলছি, এই যুগ অস্ত্রপাতি দিয়ে লড়াইয়ের যুগ নয়, এই যুগ মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের যুগ। আপনি মনস্তাত্ত্বিক ভাবে শক্ত থাকলেন তবে জিতে গেলেন, কিন্তু দুর্বল হয়ে গেলেন ব্যস ধরা খেলেন। আপনি বুঝতেছেন মিডিয়া আপনার শত্রু, কিন্তু সেই মিডিয়া যখন মন্দির ভাঙ্গার ঘটনাকে হাইলাইট করলো তখন আপনি কেন কৌশলের কাছে ধরা গেলেন ?? এখন আপনার পাপের ফসল আপনাকেই বহন করতে হচ্ছে, মুসলমানদের কৌশলগত পরাজয় ঘটছে।
এখান থেকে আপনাদের শিক্ষা নিতে হবে- পঞ্চম ধাপের দিকে খেয়াল রাখুন। মানে মিডিয়ার কথায় কিছুতেই ভোলা যাবে না। তারা যতই ইনিয়ে বিনিয়ে আপনার মনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, সেখানে ভুলে যাবেন না। মানবতার বুলি ভুলে যান। তারা কিন্তু মুসলমানদের বেলায় মানবতার কথা মনে করে না। ইরাক, আফগানিস্তান ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, মায়ানমারে যখন মুসলমান মারে তখন তাদের মানবতার ক্ষতি হয় না। কিন্তু তাদের উপর আঘাত হলেই মানবতা বুলিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। আপনি সেই কৌশলে ধরা খেয়ে বসেন। মনে রাখবেন এখন যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের ময়দানে যদি আপনি মানবতার ধার ধরে বসে থাকেন তবে প্রতিপক্ষকে কখনই আঘাত করতে পারবেন না।
তাই যেভাবে শুরু হয়েছিলো সেখানেই দৃঢ়চিত্ত থাকুন।
“মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে, বাড়িঘর ভাঙ্গা হয়েছে, অমুককে মারা হয়েছে, অমুক হিন্দু টিচারকে কানধরে উঠবস করানো হয়েছে, তো কি হয়েছে ??? তার যে ক্ষতি হয়েছে তার থেকে ঢের ক্ষতি হয়েছে ইসলাম অবমাননায়। আগে আমারটার বিচার শেষ করো, তারপর চিন্তা করা যাবে তার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আমি কি বলবো।”
মূল তত্ত্ব শিখিয়ে দিলাম, যদি এতটুকু ফলো করতে পারেন, আশাকরা যায় জয়লাভ আপনার ৯০% নিশ্চিত।
Kommentarer
Skicka en kommentar