ভারতের মালউন আর আওয়ামী সরকারের হাত থিকে দেশ কে রক্ষা করার কি কেও নেই?

ভারতের মালউন আর আওয়ামী সরকারের হাত থিকে দেশ কে রক্ষা করার কি কেও নেই?
ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারকে সরাসরি পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। ভারত থেকে তেল আমদানির জন্য শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করতে হবে। এজন্য সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে দুই হাজার কোটি র”পি। যেহেতু বাংলাদেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) পরিশোধন ক্ষমতা বাড়ানোর কথা ভাবছে দীর্ঘদিন ধরেই। তাই এই সুযোগটি হাতছাড়া করতে চায় না ভারত। এ কারণে তেল শোধনাগারের ক্ষমতা বৃদ্ধি না করে ভারত সরাসরি তাদের শোধনাগার থেকে তেল নেয়ার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশকে। আর ভারতের এই প্রস্তাবের পরই ইআরএলের পরিশোধন ক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্পের কাজ ঝুলে গেছে। দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭০ লাখ মেট্রিক টন। আর এর বিপরীতে দেশের একমাত্র জ্বালানি তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লি ১৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি যোগান দিতে পারে না। তাই চাহিদার বাকি পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করতে হয়। এজন্য এই তেল শোধনাগারের ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে ইআরএলের পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ থেকে বেড়ে ৪৫ লাখ টন হতো। এতে প্রতি বছর সাশ্রয় হতো প্রায় ২২ কোটি ডলার। আর তাতে জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি কমে যেতো ৭ থেকে ৮ টাকা। আবার যেখানে মাত্র ১৩০ কোটি ডলার খরচ করে শোধনাগারের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায় সেখানে তার থেকেও বেশি পরিমাণ টাকা খরচ করে এই পাইপলাইন নির্মানের প্রস্তাব দেয় ভারত। ভারত যেখানে নিজেরাই অন্যদেশ থেকে তেল আমদানি করে, যে দেশে তেলের মুল্য বাংলাদেশ হতে বেশি, যাদের প্রতিমাসে ডিজেলের মুল্য বৃদ্ধি হয় ২০ থেকে ৫০ পয়সা, যাদের নিজেদের দেশে তেল নিয়ে আন্দোলন হয়, যে দেশে বাংলাদেশ হতে প্রচুর পরিমাণে তেল পাচার হয় এবং নিজেদের দেশের অনেক জায়গাতেই এখনো তারা তেল পৌঁছাতে পারে না, এ অবস্থায় তারা বাংলাদেশকে কেন তেল দিতে চাচ্ছে, তাও আবার সরাসরি পাইপ লাইনের মাধ্যমে, এত তেল তারা পাবে কোথায়? এর পিছনে রয়েছে ভারতের গভীর ষড়যন্ত্র। যে টাকা দিয়ে পাইপলাইন বানাতে চায় তার থেকে কম খরচে ইস্টার্ন রিফাইনারীর তেল পরিশোধন ক্ষমতা বাড়ানো যায়। তাহলে তেল পরিশোধন ভারতে কেন করবে বাংলাদেশ যেখানে নিজের দেশেই সম্ভব? ভারত চায় না বাংলাদেশ পরিশোধনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তেলের দাম কমিয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করুক। এর মাধ্যমে ভারত মূলত বাংলাদেশ হতে প্রকাশ্যে তেল চুরি করে নিয়ে যাবে, বেশি দামে বাংলাদেশকে তেল কিনতে হবে এবং যে মুসলিম দেশ হতে বাংলাদেশ তেল আমদানী করত তার সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে; যেমনটি হয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য মেলার আয়োজক দুবাই কে সমর্থন না করে।

Kommentarer

Populära inlägg i den här bloggen

সি আই এ মোসাদ এর প্রজেক্ট হলো ইনসেস্ট তথা বাবা-মেয়ে,মা-ছেলে, ভাই-বোন অবৈধ সম্পর্ককে প্রমোট করা।

পতিতা ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ এবং দালাল মিডিয়া

বাংলাদেশে পতিতাদের সংগঠনগুলোই বলছে- বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতাদের সংখ্যা ৬৪% এবং তারা আরো জানাচ্ছে, ৯০% পতিতা তাদের দেহব্যবসা শুরু করে শিশু বয়স থেকেই।