মুসলিম সমাজের বর্তমান অবস্থা ও স্বরূপ নিয়ে আলোচনা

মুসলিম সমাজের বর্তমান অবস্থা ও স্বরূপ নিয়ে আলোচনা
নাসিরনগরের ঘটনার শুরুতে মুসলমানরা ছিলো চালকের আসনে। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মুসলমান মাঠে নেমেছিলো ইসলামের পক্ষে এবং ইসলাম অবমাননার বিপক্ষে। অনেক ইসলামী নেতাও ছিলেন তার নেতৃত্বে। কিন্তু হঠাৎ মন্দির ভাঙ্গার ঘটনাকে পূজি করে মূল ঘটনা মুসলমানদের হাত ছাড়া হয়ে যায়। চালকের আসনে বসে যায় এন্টি মুসলিমরা। দেখা যায়- ইসলামী নেতারাও ভোল পাল্টে এন্টি মুসলিমদের দলে যোগ দিয়েছে। পুরো ঘটনা পর্যবেক্ষণে এবং বর্তমান মুসলমানদের অবস্থা নিরীখে মুসলমানদের বর্তমান অবস্থা আমার চোখে যেভাবে ধরা দেয়-
১) মুসলমানদের কোন প্ল্যাটফর্ম নেই।
২) মুসলমানদের কোন বিশ্বস্ত অভিভাবক নেই, যে বিপদ দেখলেও দৃঢ় থাকবে, ভোল পাল্টিয়ে ফেলবে না।
৩) মুসলমানদের কৌশলগত দক্ষতা নেই বললেই চলে । পড়ালেখা, ইতিহাস চর্চা, গবেষণা কোনটাই নেই। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মত যোগ্যতাও নেই।
৪) মুসলমানদের একতা নেই, নেই কোন মুসলিম নেটওয়ার্ক। নেই ভাতৃত্ববোধ। এক মুসলমান বিপদে পড়লে অন্যরা এগিয়ে আসে না। যদি দেখে কোন মুসলমান উপরে উঠতে যাচ্ছে, তবে সে নিজেই তাকে ল্যাং মেরে আসে। অনেকটা কাকড়ার মত। গর্তে আটকে যাওয়া কোন কাকড়া যদি গর্তে বেয়ে উপরে উঠতে যায়, তবে অন্য কাকড়া তাকে টেনে নিচে নামিয়ে দেয়।
৫) মুসলমানরা মন-মানসিকতার দিক থেকে ঘড়ির পেন্ডুলামের মত। একবার একদিক, অন্যবার অন্যদিক। সেই নিজেই জানে না তার লক্ষ্য কি ? মুসলমানরা শত্রুপক্ষের মিডিয়া দ্বারা ১০০% বিভ্রান্ত।
৬) প্রায় ৯৯.৯৯% মুসলমান বেখেয়াল। তারা চাকুরী-সংসার-পড়ালেখা-মজমাস্তি আর খেলাধূলা নিয়ে ব্যস্ত। তার জাতি যদি গোল্লায়ও যায়, তবে তার কিছু আসে যায় না। তার কাজ ঠিক থাকলেই হলো।
৭) মুসলমানরা নিজের বিষয়টাকে মূল্য দেয় না। অপরেরটাকে মূল্য দেয়। যেমন- কাবা ঘরের থেকে মন্দির অবমাননা করলে মুসলমানদের মন কাদে বেশি।
৮) অধিকাংশ মুসলমান তার নিজের ধর্মের মূল তত্ত্ব (কোরআন-হাদীস) সম্পর্কে ধারণা রাখে না। কোনটা মুসলমানের কাজ আর কোন কাজটা মুসলমান করতে পারে না এগুলো সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নাই। তাই বাধ্য হয়ে সে অপর জাতির সংষ্কৃতিকে আকড়ে ধরে।
৯) অধিকাংশ মুসলমান হীনমন্যতায় ভোগে। তার মনের মধ্যে সব সময় উকি দেয়- আমেরিকা বোধ হয় ভালো, ভারত বোধ হয় বেশি উন্নত, হিন্দুরা বেশি বিশ্বস্ত। কিন্তু মুসলমান মাত্রই খারাপ, মুসলমানের কালচার মানেই ব্যাকডেটেড ইত্যাদি।
১০) মুসলমানরা যে সমস্যা আক্রান্ত এটাই সে জানে না। এ অবস্থায় কি করা উচিত, কি লক্ষ্য তাদের, কি কার্যক্রম তাদের ? কিভাবে করে পতন ঠেকানো যায় এ ধরনের কোন চিন্তা-ভাবনা তাদের জন্য বহুদূর। যারা এগুলো কিছুটাও করে সব করে নিজ দল ও স্বার্থের জন্য। কিন্তু মুসলমানদের জন্য আলাদা ভাবে কোন চিন্তা কারো নাই এবং করার ইচ্ছাও নাই।
বাংলাদেশের মুসলমানদের অবস্থা একেবারে কিনারে চলে এসেছে, আমি তাদের সামনে বিরাট সমস্যা দেখতে পাচ্ছি।

Kommentarer

Populära inlägg i den här bloggen

সি আই এ মোসাদ এর প্রজেক্ট হলো ইনসেস্ট তথা বাবা-মেয়ে,মা-ছেলে, ভাই-বোন অবৈধ সম্পর্ককে প্রমোট করা।

পতিতা ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ এবং দালাল মিডিয়া

বাংলাদেশে পতিতাদের সংগঠনগুলোই বলছে- বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতাদের সংখ্যা ৬৪% এবং তারা আরো জানাচ্ছে, ৯০% পতিতা তাদের দেহব্যবসা শুরু করে শিশু বয়স থেকেই।