ইহুদী ও ইহুদীবাদী, হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদী

ইহুদী ও ইহুদীবাদী, হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদী
ইহুদী ও ইহুদীবাদ এক নয়। ইহুদী হচ্ছে যারা ইহুদী ধর্মালবম্বী। আর ইহুদীবাদী বা ইহুদীরাষ্ট্রবাদী হচ্ছে তারাই যারা প্যালেস্টাইনী মুসলমানদের ধ্বংস করে অন্যায্য রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পক্ষে। কুচক্রী ইহুদীবাদী বা ইহুদীরাষ্ট্রবাদীদেরকে অনেকে জায়নিস্ট নামে সংজ্ঞায়িত করেছে। সকল ইহুদী-ই ইহুদী, কিন্তু সকল ইহুদীবাদী ইহুদী নয়। অনেক খ্রিস্টানও (অন্য ধর্মাবলম্বীও রয়েছে) এই ইহুদীবাদী বা জায়ানিস্ট দলের সদস্য।
বাংলাদেশে এখন যেটা তৈরী হচ্ছে সেটা হলো ইহুদীবাদের অনুরূপ হিন্দুত্ববাদ। ইহুদী ও ইহুদীবাদ যেমন এক নয়, অনুরুপ হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ এক নয়। ইহুদীবাদের মত হিন্দুত্ববাদদের মূল ভিত্তিও হচ্ছে ‘এন্টি মুসলিম’। ইহুদীবাদীরা যেমন প্যালেস্টাইনীদের ধ্বংস করার থিউরীর উপর দাড়িয়ে এক হয়েছে, ঠিক তেমনি হিন্দুত্ববাদীরাও মুসলমানদের ধ্বংস করার শপথ নিয়ে এক হয়েছে। সকল ইহুদী যেমন ইহুদীবাদী নয়, ঠিক তেমনি সকল হিন্দুও হিন্দুত্ববাদী নয়। অনেক মুসলমান নামধারীও এই হিন্দুত্ববাদের সাথে সংযুক্ত হয়ে গেছে। এই হিন্দুত্ববাদীদের সহজ সংজ্ঞা হচ্ছে- হিন্দু জনগোষ্ঠীকে পূজি করে মুসলমানদের নিষ্পেষিত ও ধ্বংস করা, এবং দিন শেষে হিন্দুত্ববাদীদের ঝুলিতে ফসল তোলা, যদিও সাধারণ হিন্দু জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হোক না কেন।
সম্প্রতি নাসিরনগরে যে হিন্দুরা আক্রমণের শিকার হয়েছে, তারা হলো সাধারণ হিন্দু। কিন্তু যে হিন্দুরা ঐ দরিদ্র হিন্দুদের ভাঙ্গা ঘরের ইমোশোনকে পূজি করে ফায়দা লুটেছে তারা হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী। এর মধ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীও আছে, আর মুসলিম নামধারীও আছে, যেমন- আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী। তারা হিন্দু জনগোষ্ঠীকে মেরে পিটিয়ে নাটক তৈরী করে, আবার সেই নাটককে উছিলা করে মুসলমানদের দমন করে এবং বাংলাদেশের মুসলমানদের দমন করে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের খূশি করে নিজের গদিকে আরো দীর্ঘস্থায়ী করে।
আমি আবার বলছি, হিন্দুত্ববাদীরা সাধারণ হিন্দুদেরকেই শো করে পাবলিক সেন্টিমেন্ট কাড়ে। কিন্তু বাস্তবে হিন্দুত্ববাদীরা কখনই সাধারণ হিন্দুদের ভালো চায় না। যদি তারা ভালো চাইতো, তবে কখনই ধর্ম অবমাননার বারংবার ঘটনা তারা ঘটাতো না, এরপর সেটার অজুহাতে নিজেরাই মন্দির ভাঙতো, এরপর তার অজুহাতে মুসলমানদের ধরপাকড় করতো না। যদি সে প্রকৃতই হিন্দুপ্রেমী হতো, তবে সে চিন্তা করতো- আমি এগুলো ঘটিয়ে যে হিন্দু-মুসলিম দূরত্ব তৈরী করছি, আপাত দৃষ্টিতে হিন্দুরা জয়লাভ করলেও ইন দ্য লং রান, বাংলাদেশকে হিন্দুশূণ্য করার প্ল্যাটফর্ম সেই তৈরী করে দিচ্ছে। অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদীরা তো আর চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না, তাদের ক্ষমতা গেলে এফেক্ট পড়বে সেই সাধারণ হিন্দুদের উপরই। অথচ এই হিন্দুদের পূজি করেই হিন্দুত্ববাদীরা স্বার্থগুলো হাসিল করতো। বিষয়টা অনেকটা ডিম পাড়া মুরগীর মত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতিদিন সেই মুরগীর থেকে একটা করে ডিম পায়, কিন্তু হিন্দুত্ববাদীরা সেই ডিমপাড়া মুরগীটাকে একবারে জবাই করে খেয়ে ফেলতে চায় চায়। হয়ত প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদীরা উপকৃত হচ্ছে, কিন্তু এর চূড়ান্ত ফলাফলই হচ্ছে হিন্দুশূণ্য বাংলাদেশ। হিন্দুরা দেশভাগের পর ৬৯ বছরে যা অর্জন করলো, হিন্দুত্ববাদীরা মাত্র ২-৪ বছরে তা লুটেপুটে খেলে নিলো। দেখা যাক তবে কি হয়।
ছবি : হিন্দুত্ববাদীদের একটা লক্ষণ হাতে লাল সূতা বাধা।

Kommentarer

Populära inlägg i den här bloggen

সি আই এ মোসাদ এর প্রজেক্ট হলো ইনসেস্ট তথা বাবা-মেয়ে,মা-ছেলে, ভাই-বোন অবৈধ সম্পর্ককে প্রমোট করা।

পতিতা ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ এবং দালাল মিডিয়া

বাংলাদেশে পতিতাদের সংগঠনগুলোই বলছে- বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতাদের সংখ্যা ৬৪% এবং তারা আরো জানাচ্ছে, ৯০% পতিতা তাদের দেহব্যবসা শুরু করে শিশু বয়স থেকেই।