সামান্য টাকার জন্য ভারতের কাছে দেশ বিক্রি.............

সামান্য টাকার জন্য ভারতের কাছে দেশ বিক্রি..............
সামান্য টাকার জন্য আজ দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা ভারতের কাছে বাংলাদেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে। বাংলাদেশেই সব সুযোগ আছে, কিন্তু তারপরও বিশাল অর্থের টেন্ডারগুলো দেয়া হচ্ছে ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে। যেমন:
(১) বাংলাদেশে অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কন্সট্রাকশন ফার্ম থাকার পরও যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার বানানো হলো ভারতীয় কোম্পানি সিমপেক্স ইনফ্রাস্ট্রাচার দিয়ে। (সূত্র: বণিক বার্তা, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩)
(২) বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ঔষধ কোম্পানি থাকলেও শিশুদের জন্য ভিটামিন এ ক্যাপসুল বানানো হলো ভারতের বিতর্কিত ও নি¤œমানের কোম্পানি ‘অলিভ হেলথ কেয়ার’কে দিয়ে। (দৈনিক ইত্তেফাক, ১৭ই মার্চ, ২০১৩)
(৩) দেশি কোম্পানিগুলোর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকলেও দ্বিতীয় ভৈরব সেতু বানানো হচ্ছে ভারতীয় কোম্পানি ইরকন ও এফকন্সকে দিয়ে। (দৈনিক প্রথম আলো, ১৫ই আগস্ট, ২০১৩)
(৪) দেশি কোম্পানিগুলোর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকলেও দ্বিতীয় তিতাস রেলসেতু বানানো হচ্ছে ভারতীয় কোম্পনি গ্যানোন ও এফএলসিএলকে দিয়ে। (দৈনিক প্রথম আলো, ১৫ই আগস্ট, ২০১৩)
(৫) বাংলাদেশের ভ্যাকসিন উৎপাদন বন্ধ করে (সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন), ৫ কোটি ২০ লক্ষ ভ্যাকসিন আনা হয়েছে ভারতের অখ্যাত সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে। (সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ২১শে জানুয়ারি, ২০১৪))
(৬) বাংলাদেশে অজস্র ছাপাখানা থাকলেও বোর্ডের বই ছাপানো হচ্ছে ভারতীয় কোম্পানি গফ সন্স ইন্ডিয়া, ক্যালিকো, রেপপ্রো ইন্ডিয়ামত কোম্পানি দিয়ে । (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৬শে জুন, ২০১১)
৭) দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে (দৈনিক যুগান্তর, ১০ই জানুয়ারি, ২০১৪) ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে (দৈনিক প্রথম আলো, ৩০শে নভেম্বর, ২০১৩)
(৮) বাংলাদেশে অসংখ্যা রিয়েল স্টেট গ্রুপ থাকলেও ভারতের চোর কোম্পানি সাহারাকে দিয়ে উপশহর বানানো হচ্ছে। (কালের কন্ঠ, ২৩শে ২০১২)
(৯) ভারতের নিম্নমানের রেল ইঞ্জিন কেনা হচ্ছে উচ্চমূল্য দিয়ে। (দৈনিক যুগান্তর, ১৯ জুন, ২০১৩)
(১০) বাংলাদেশে বানানোর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভারত থেকে বাস-ট্রাক কেনা হচ্ছে (দৈনিক সংগ্রাম, ৬ অক্টোবর, ২০১০)
(১১) বাংলাদেশের উন্নতমানের চাল পাচার করে (বিএনবি নিউজ, ১৭ই এপ্রিল ২০১১) ভারত থেকে নি¤œমানের চাল আমদানি করা হচ্ছে। (বাংলানিউজ ২৪, ১২ই সেপ্টেম্বর ২০১১)
(১২) অনুন্নত হওয়া সত্ত্বেও ভারত থেকে কেনা হচ্ছে ডেমু ট্রেন। (বণিকবার্তা, ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪)
(১৩) অনুন্নত হওয়া সত্ত্বেও ভারত থেকে কেনা হয়েছে তেল ট্যাঙ্কার, যা ত্রুটির কারণে আমদানির কয়েকদিনের মধ্যে রেলওয়ের বোঝাতে পরিণত হয়েছে। (আলোকিত বাংলাদেশ, ১৩ই জুলাই, ২০১৩)
(১৪) অনুন্নত হওয়া সত্ত্বেও ভারত থেকে কেনা হচ্ছে ড্রেজার। (দৈনিক সংগ্রাম, ৭ই জুন, ২০১২)
(১৫) বাংলাদেশে কোম্পানিগুলোকে ইচ্ছাকৃত অনুন্নত রেখে ভারতের অতিনিম্নমানের ওএনজিসি নামক কোম্পানিকে সাগরে গ্যাস উত্তোলন করতে দেয়া হয়েছে। (বিডি নিউজ২৪, ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪)
(১৬) বাংলাদেশ পারলেও আমাদের নৌ টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত, সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিজেরাই করছে দরপত্র আহ্বান। (দৈনিক আমারদেশ, ৩রা জুন ২০১৩)
কিন্তু আমরা থাকতে ভারত কেন? উত্তর খুব সোজা। বাংলাদেশের কোম্পানি দিয়ে বানালে এগুলোর মধ্যে বড় দুর্নীতি করা যাবে না, করলেও ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ভারতের কোম্পানি দিয়ে করলে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা করতে পারবে ইচ্ছামতো দুর্নীতি।
এই সকল দুর্নীতিবাজরা সামান্য টাকার জন্য দেশকে বিক্রি করে চলেছে। এদের মধ্যে নেই নুন্যতম ইসলামী মূল্যবোধ, নেই দেশপ্রেমের ছিটেফোঁটাও। হক্কুল ইবাদ বা জনগণের হক্ব নষ্ট করার জন্য পরকালে এদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।
বি:দ্র: কোন রকম অস্লিল টেক্সট করলে বিনা নোটিসে টেক্সট মুছে ফেলা বা প্রয়োজনে ব্যান করা হবে.

Kommentarer

Populära inlägg i den här bloggen

সি আই এ মোসাদ এর প্রজেক্ট হলো ইনসেস্ট তথা বাবা-মেয়ে,মা-ছেলে, ভাই-বোন অবৈধ সম্পর্ককে প্রমোট করা।

পতিতা ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ এবং দালাল মিডিয়া

বাংলাদেশে পতিতাদের সংগঠনগুলোই বলছে- বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতাদের সংখ্যা ৬৪% এবং তারা আরো জানাচ্ছে, ৯০% পতিতা তাদের দেহব্যবসা শুরু করে শিশু বয়স থেকেই।