পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের জয়লাভের মূল কারন মুসলিম নবাবদের বিরুদ্ধে এংলো হিন্দুর প্রচেষ্ঠা।

১৭৫৭ সালে স্বাধীনচেতা নবাব সিরাজ যেভাবে তার সরকারের হিন্দু কর্মচারী, সেনাপতি ও হিন্দুদের আত্মীয় মীরজাফরের ষড়যন্ত্রে পরাজিত হয়েছিল ঠিক তদ্রুপ এদেশের সরকারও হিন্দুস্থানী ষড়যন্ত্রের অসহায় শিকারে পরিণত হবে। উপরোক্ত বক্তব্যের স্বপক্ষে প্রামান্য তথ্যাদি হল
১। পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের জয়লাভের মূল কারন মুসলিম নবাবদের বিরুদ্ধে এংলো হিন্দুর প্রচেষ্ঠা। নামকরা হিন্দু পরিবারের সংগে মীরজাফরের আত্মীয়তা ছিল। এজন্য সিরাজ মীরজাফরকে তার অপকর্মের জন্য শাস্তি দিতে সক্ষম হয়নি। (সূত্র: বৃটিশ নীতি ও বাংলার মুসলমান ড. আজিজুর রহমান মল্লিক, পৃ- ৭০)।
২। নবাব আলীবর্দী খান থেকে উত্তরাধীকার সূত্রে প্রাপ্ত নবাব সিরাজের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ন পদগুলির দায়িত্বে ছিল হিন্দুরা। ঢাকার প্রাদেশিক দেওয়ান ছিল রাজবল্লভ। বিহারের ১ম গভর্নর ছিল জানকীরাম, ২য় গভর্নর ছিল রাম নারায়ন। অর্থ বিভাগের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব ছিল জগৎশেঠের, তার সহযোগী ছিল দেওয়ান চিনুরায়, বাবু বীরুদত্ত, কিরাতচাঁদ ও উমিচাঁদ। সেনাবাহিনীর প্রধান বিভাগের দায়িত্বে ছিল রায়দুর্লভ রাম, বাবু মানিক চাঁদ, রাজা নন্দকুমার ও মোহনলাল। এদের মধ্যে একজন ব্যতীত বাকী সবাই পলাশীর বিশ্বাসঘাতক হিসাবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে। পরবর্তী ইতিহাসে দেখা গেছে এদেশের ও ভারতের সকল হিন্দুরা পলাশীর বেনিফিসিয়ারী হয়েছে এবং সর্বস্ব হারিয়েছে মীরজাফর সহ সকল মুসলমানরা। (সূত্র: জাতির উত্থান-পতন, সূত্র: এস,এম, নজরুল ইসলাম পৃ-৩০-৩১)।
৩। ২০০৭ সালের এপ্রিলে রায়বেরেলির এক জনসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছে, “আমার পরিবারই পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে।
উপরোক্ত শিরোনামটি দৃশ্যতঃ খুবই সাম্প্রদায়িক মনোভাবপ্রসূত কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে দিবালোকের মত সত্য ঘটনা। উপমহাদেশের রাজনীতির গতি প্রকৃতি হৃদয়ংগম করতে হলে হিন্দু মানসিকতার ঐতিহাসিক বাস্তবতাকে বুঝতে হবে, বিশেষ করে ব্রাক্ষন্যবাদকে ও ঞযব ওহফরধ উড়পঃৎরহব কে বুঝতে হবে, না হয় বাংলাদেশের বর্তমান অযোগ্য, অদুরদর্শী ও অথর্ব রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবিদের কঠিন পরিনতি ভোগ করতে হবে এবং দেশ বারবার পলাশী বিপর্যয়ের সম্মখীন হবে।

Kommentarer

Populära inlägg i den här bloggen

সি আই এ মোসাদ এর প্রজেক্ট হলো ইনসেস্ট তথা বাবা-মেয়ে,মা-ছেলে, ভাই-বোন অবৈধ সম্পর্ককে প্রমোট করা।

পতিতা ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ এবং দালাল মিডিয়া

বাংলাদেশে পতিতাদের সংগঠনগুলোই বলছে- বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতাদের সংখ্যা ৬৪% এবং তারা আরো জানাচ্ছে, ৯০% পতিতা তাদের দেহব্যবসা শুরু করে শিশু বয়স থেকেই।