আসছে মুসলমানদের জন্য বড় বিপদ ‘ইন্টারফেইথ’

আসছে মুসলমানদের জন্য বড় বিপদ ‘ইন্টারফেইথ’

ইহুদীবাদীরা বিভিন্ন সময় মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে। একেক ষড়যন্ত্রের একেক রূপ। এ ষড়যন্ত্রগুলো শুরুতেই যদি মুসলমানরা বুঝতে পারতো, তবে মুসলমানদের এখন এত কঠিন অবস্থায় পড়তে হতো না। মুসলমানদের অবুঝতার সুযোগ নিয়ে ইহুদীবাদীরা অনেক ষড়যন্ত্র-ই মুসলমানদের ভেতর প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য একটা বড় ষড়যন্ত্র বা বিপদের নাম হচ্ছে ‘ইন্টারফেইথ’ বা ‘আন্তঃধর্ম’। ‘ইন্টারফেইথ’ বা ‘আন্তঃধর্ম’ নামটি বিভিন্ন নাম দিয়ে প্রচারিত হতে পারে। যেমন: ইন্টারফেইথ ডায়ালগ, ইন্টারফেইথ হারমোনি, ইন্টারফেইথ এলিয়েন্স ইত্যাদি। নামগুলো শুনতে খুব সুন্দর শোনা গেলেও বাস্তবে এই ইন্টারফেইথ মুসলমানদের জন্য বিধ্বংসী হবে।

ইন্টারফেইথ কেন খারাপ ?

সারা বিশ্বে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ইসরাইলে ইহুদীরা মুসলমানদের মারছে, ইউরোপ-আমিরকায় খ্রিস্টানরা মুসলমানদের মারছে, মায়ানমার-থ্যাইল্যান্ড-চীনে বৌদ্ধরা মুসলমানদের মারছে, ভারতে হিন্দুরা মুসলমানদের মারছে। সমস্ত অমুসলিমগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক শক্তিতে একত্রিত হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে। কিন্তু মুসলমানরা যেন এক হয়ে তাদের নির্যাতনের প্রতিবাদ না করতে পারে, সে জন্যই তৈরী করা হয়েছে কথিত এই ইন্টারফেইথ সিস্টেম।

ইন্টারফেইথ ও সেক্যুলারিজমের মধ্যে তফাৎ কি ?

বাস্তবিক প্রয়োগে ইন্টারফেইথ ও সেক্যুলারিজম একই জিনিস। তবে সেক্যুলারিজমটা করানো হয় দাড়ি-টুপিবিহীন লোকগুলোর মাধ্যমে। কিন্তু ইন্টারফেইথ'টা করানো হবে বিভিন্ন মসজিদের হুজুর, খতিব, মাদ্রাসার শিক্ষক, ওয়ায়েজ, মুফতি, বক্তা, স্কলারদের মাধ্যম দিয়ে। আমার কাছে একটি সূত্রে খবর এসেছে, কয়েকটি বিদেশী এনজিও বাংলাদেশের মাদ্রাসা বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসাগুলোতে এই ইন্টারফেইথ প্রবেশ করানোর জন্য কয়েকটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। তারা ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে ছাত্রদের ইন্টারফেইথ প্রশিক্ষণ দেবে।

আপনাদের মনে থাকার কথা, কিছুদিন আগে পোপ বাংলাদেশে এসে ফরিদুদ্দিন মাসউদের সাথে এক সাথে ইন্টারফেইথ বা আন্তঃধর্মীয় প্রার্থনা বা মোনাজাত করেছিলো। ইন্টারফেইথের ক্ষতি হলো- অমুসলিমরা মুসলমানদের উপর যতই নির্যাতন বা নিপীড়ন করুক, মুসলমানরা কখনই সেই নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক হতে পারবে না, প্রতিবাদ করতে পারবে না, নিরবে মার খাবে। সোজা ভাষায় মুসলমানদের হিজরা জাতিতে পরিণত করাই এ ইন্টারফেইথের লক্ষ্য। এ ব্যাপারে মুসলমানদের মধ্যে দ্রুত ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি জরুরী।

বিস্তারিত :

১) https://en.wikipedia.org/wiki/Interfaith_dialogue

২) https://en.wikipedia.org/wiki/World_Interfaith_Harmony_Week

৩) https://en.wikipedia.org/wiki/Category:Interfaith_organizations

Noyon chatterjee 5s foto.

Kommentarer

Populära inlägg i den här bloggen

সি আই এ মোসাদ এর প্রজেক্ট হলো ইনসেস্ট তথা বাবা-মেয়ে,মা-ছেলে, ভাই-বোন অবৈধ সম্পর্ককে প্রমোট করা।

বাংলাদেশে পতিতাদের সংগঠনগুলোই বলছে- বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতাদের সংখ্যা ৬৪% এবং তারা আরো জানাচ্ছে, ৯০% পতিতা তাদের দেহব্যবসা শুরু করে শিশু বয়স থেকেই।

পতিতা ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ এবং দালাল মিডিয়া