হিন্দু ছাত্রদের দ্বারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপকর্ম

হিন্দু ছাত্রদের দ্বারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপকর্ম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু অধ্যুষিত জগন্নাথ হলের ছাত্ররা কি সন্ত্রাস-অপকর্মে এগিয়ে যাচ্ছে ??
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী এলাকায় এক ব্যক্তির বান্ধবীকে ধর্ষণের হুমকি দিযে এটিএম কার্ডের অর্থ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছিনতাইকারী গ্রুপটি ভিকটিমের গলায় চাপাতি ধরে তাকে হত্যারও হুমকি দেয়। ঘটনািটি ফাঁস হয়ে যায়, এটিএম বুথের সিসিটিভিতে অপরাধীদের চেহারা দেখে। বেরিয়ে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হল জগন্নাথের ছাত্ররাই এ অপকর্মের সাথে জড়িত। এদের একজনের নাম অমিত কুমার সাহা, অন্যজন রাজীব বাড়ৈ।
আজকে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া দুই হিন্দু ছাত্র স্বীকার করেছে যে, তাদের সাথে আরো ১৪ জন আছে, যাদের অধিকাংশ হিন্দু হল জগন্নাথের ছাত্র। রিপোর্টে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল সক্রিয় ছিনতাই চক্রের সাথে ঘুরে ফিরে কয়েকজনের নামই আসে। এদের মধ্যে একজনের নাম রাজীব মজুমদার, অন্যজন বিধান রায়, ঢাবিতে সকল ছিনতাইয়ের তারাই মূল হোতা।
উল্লেখ্য গত কয়েক বছর যাবত নানার অপকর্মের সেন্টার হয়ে উঠেছে এই হিন্দু অধ্যুষিত সংখ্যালঘু জগন্নাথ হল। হলটি যেমন একদিকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের (যেমন: অমিত কুমার সাহা) আখড়া। অন্যদিকে হলের রুম ব্যবহার করে করা হয় নিকৃষ্ট সব অপরাধ, যা ঢাবির ইতিহাসে বিরল। যেমন, গত বছরই জগন্নাথ হলের নর্থ বিল্ডিংয়ে ১৭ নম্বর কক্ষে এক ফোন-ফ্যাক্স ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে পিটিয়ে মুক্তিপন দাবি করে কিছু ছাত্র। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে গ্রেফতার হয় ৭ জন। এদের মধ্যে মুল ঘটনার নেতৃত্বদানকারী ছিলো সৃজন ঘোষ (মাস্টার্স, সমাজবিজ্ঞান), অনুপ চন্দ্র (মাস্টার্স, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান)। পরবর্তীকালে ১৭ নম্বর কক্ষটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জগন্নাথ হলের ছাত্রদের বেপরোয়া চাদাবাদির বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করলে বের হয়ে আসে আরো ভিন্ন কিছু খবর। জানা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত রমনা কালী মন্দিরে হিন্দুদের জমায়েত হওয়াই তাদের বেপারোয়া হওয়ার কারণ। জানা যায়, রমনা কালী মন্দির নিয়ন্ত্রণ করে ঢাবির সাবেক কিছু হিন্দু ছাত্রলীগ নেতা, যাদের শেল্টার পেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে জগন্নাথ হলের ছাত্রদের বেপরোয়া হওয়ার মাত্র ছাড়িয়ে যায়। সন্ধার পর কোন জুটি পেলেই তারা হেনস্থা করে, দুইজনকে আলাদা করে পুরুষের থেকে সব কেড়ে নেয়, আর নারীকে আলাদা করে তাকে শরীরীকভাবে নিপীড়িন করে। এছাড়া এ সকল নেতাদের (চাদা দেওয়ার বিনিময়ে) শেল্টার পেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পতিতাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। জানা যায়, এ্ই জগন্নাথ হলের ছা্ত্রদের কারণেই আজ রমনা কালী মন্দির এত বড় হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রমনাকালী মন্দিরের আয়তন খুব ছোট ছিলো। কিন্তু বেশকিছুদিন আগে, রাতের আধারে জগন্নাথ হল থেকে শত শত হিন্দু ছাত্র এক রাতের মধ্যে বেড়া দিয়ে দখল করে নেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল এলাকা। হিন্দু নেতাদের ক্ষমতার দাপটের কারণে সেই দিন হিন্দুদের সেই বিশাল দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দটি পর্যন্ত করতে পারেনি।
আরো উল্লেখ্য, গত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনের গেটে নারী যৌন হয়রানীর বিষয়টি ব্যাপকভাবে মিডিয়ায় আসে, কিন্তু সেটার কোন কূলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয়রা জানায়, জগন্নাথ হলের ছাত্ররাই ঐ এলাকায় আড্ডা মারে এবং নারীদের ভিড় পেলেই হামলে পড়ে, ঐ দিন তাদের কোন গ্রুপই নারীদের উপর হায়নার মত হামলে পড়েছিলো। কিন্তু সরকারের শেল্টার এবং মিডিয়ার উল্টো প্রচারে (একাত্তর টিভি-প্রথম আলো প্রচার করেছিলো তাদের মুখে নাকি চাপ দাড়ি আছে) বিষয়টি ধামাচাপা পরে যায়। যেহেতু, এবার পুলিশ অমিত-রাজীবসহ তাদের বিশাল গ্রুপকে চিহ্নিত করতে পেরেছে, তাই এদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলেই পহেলা বৈশাখে নারী নিপীড়নের মূল হোতারা বেরিয়ে আসবে বলে অনেকে মনে করেন।
লেখার সূত্র:
১) https://goo.gl/cTcgqV
২) http://www.samakal.net/2015/09/02/159373/print
৩) www.amardeshonline.com/pages/printnews/2014/05/10/243551

Kommentarer

Populära inlägg i den här bloggen

সি আই এ মোসাদ এর প্রজেক্ট হলো ইনসেস্ট তথা বাবা-মেয়ে,মা-ছেলে, ভাই-বোন অবৈধ সম্পর্ককে প্রমোট করা।

বাংলাদেশে পতিতাদের সংগঠনগুলোই বলছে- বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতাদের সংখ্যা ৬৪% এবং তারা আরো জানাচ্ছে, ৯০% পতিতা তাদের দেহব্যবসা শুরু করে শিশু বয়স থেকেই।

পতিতা ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ এবং দালাল মিডিয়া