যে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের গণশহীদ করছে, সে মায়ানমারেরই অধিবাসী বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা
যে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের গণশহীদ করছে, সে মায়ানমারেরই অধিবাসী বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা
মায়ানমারের হানাদার সরকার বলে থাকে- ‘রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশী। তাই তাদের সেখানে থাকতে দেয়া হবে না।’ অথচ এর কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। বরং ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত সত্য যে- পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত উপজাতি সন্ত্রাসীরা মায়ানমার থেকে এসেছে।
(১). চাকমা: পূর্বনিবাস হলো চম্পকনগর, মায়ানমার। আনুমানিক ১৭১১ সালের দিকে আসে পার্বত্য চট্টগ্রামে।
(২). ত্রিপুরা: পূর্বনিবাস ভারত। আনুমানিক ১৫ শতকের দিকে আসে এখানে।
(৩). মারমা: পূর্বনিবাস মায়ানমার। আনুমানিক ১৭ শতকের শুরুর দিকে আসে।
(৪). তঞ্চংঙ্গা: পূর্বনিবাস মায়ানমার। আনুমানিক ১৮১৯ সালের দিকে আসে।
(৫). চাক: পূর্বনিবাস মায়ানমার। আনুমানিক ১৮ শতকের শুরুর দিকে আসে।
(৬). খুমি: পূর্বনিবাস মায়ানমার। নির্দিষ্ট তারিখ নেই।
(৭). খ্যাং: পূর্বনিবাস চীন হয়ে মায়ানমার। আনুমানিক ১৯ শতকের শুরুর দিকে আসে।
(৮). লুসেই, পাংখুয়া: পূর্বনিবাস ভারতের মিজোরাম। আনুমানিক ১৯ শতকের শুরুতে আসে।
(৯). বম: পূর্বনিবাস মায়ানমার। আনুমানিক ১৮৩৮ সালের দিকে আসে।
(১০). ম্রো/মুরং: পূর্বনিবাস মায়ানমার। আনুমানিক ১৭ শতকের দিকে আসে।
(১১). রাখাইন/মগ: পূর্বনিবাস মায়ানমার। ১৭৮৪ সালের দিকে আসে।
(১২). কুকি: পূর্বনিবাস মায়ানমার।
সংক্ষিপ্ত এ ইতিহাস হতে সহজেই বুঝা যায়, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো এদেশের অধিবাসী নয়। ২টি উপজাতি ভারত থেকে এসেছে আর বাকি সবই মায়ানমারের।
একইভাবে ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, সমতলের উপজাতীয় সম্প্রদায় যেমন সাঁওতাল, গারো, হাজং, মনিপুরী প্রভৃতির বাংলাদেশে আগমনের ইতিহাস তিন-চারশ’ বছরের বেশি নয়। কাজেই উপযুক্ত আলোচনায় প্রমাণিত হয় যে- আভিধানিকভাবে বাংলাদেশের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী কোনোভাবেই এখানকার স্বদেশজাত বা ভূমিপুত্র বা আদিবাসী নয়। উপজাতি গবেষক ও নৃতত্ত্ববিদ জঐঝ ঐঁঃপযরংড়হ (১৯৬০), ঞঐ খবরিহ (১৮৬৯), অমেরেন্দ্র লাল খিসা, ঔধভভধ (১৯৮৯) এবং অযসবফ (১৯৫৯) প্রমুখের লেখা, গবেষণাপত্র, থিসিস এবং রিপোর্ট বিশ্লেষণে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়: উপজাতীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো আদি অধিবাসী নয়। তারা সবাই একবাক্যে বলেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজাতীয়রা নিকট অতীতের কয়েক দশক থেকে নিয়ে মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে এদেশে স্থানান্তরিত হয়ে অভিবাসিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব উপজাতীয় জনগোষ্ঠীগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এসব জনগোষ্ঠীগুলো প্রায় সবাই যুদ্ধবিগ্রহ এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার ফলে তাদের পুরাতন বসতিস্থান থেকে এখানে পালিয়ে এসেছে। নতুবা এক জনগোষ্ঠী অন্য জনগোষ্ঠীর পশ্চাৎধাবন করে আক্রমণকারী হিসেবে এদেশে প্রবেশ করেছে। (Huchinson 1909, Bernot 1960 and Risley 1991)
এতএব, আজ যারা উপজাতিদেরকে আদিবাসী বলে অপপ্রচার করছে, তারা ইতিহাস সম্পর্কে চরম গন্ডমূর্খ ও বিদেশী অপশক্তির গোলাম। বাংলাদেশ সরকারের উচিত- উপজাতি সন্ত্রাসীদের নাগরিকত্ব বাতিল করে তাদের পূর্বনিবাস মায়ানমারে পাঠিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রামে ঠাঁই দেয়া। সরকার দেশপ্রেমিক হলে তা-ই করবে; নচেৎ করবে না।
(১). চাকমা: পূর্বনিবাস হলো চম্পকনগর, মায়ানমার। আনুমানিক ১৭১১ সালের দিকে আসে পার্বত্য চট্টগ্রামে।
(২). ত্রিপুরা: পূর্বনিবাস ভারত। আনুমানিক ১৫ শতকের দিকে আসে এখানে।
(৩). মারমা: পূর্বনিবাস মায়ানমার। আনুমানিক ১৭ শতকের শুরুর দিকে আসে।
(৪). তঞ্চংঙ্গা: পূর্বনিবাস মায়ানমার। আনুমানিক ১৮১৯ সালের দিকে আসে।
(৫). চাক: পূর্বনিবাস মায়ানমার। আনুমানিক ১৮ শতকের শুরুর দিকে আসে।
(৬). খুমি: পূর্বনিবাস মায়ানমার। নির্দিষ্ট তারিখ নেই।
(৭). খ্যাং: পূর্বনিবাস চীন হয়ে মায়ানমার। আনুমানিক ১৯ শতকের শুরুর দিকে আসে।
(৮). লুসেই, পাংখুয়া: পূর্বনিবাস ভারতের মিজোরাম। আনুমানিক ১৯ শতকের শুরুতে আসে।
(৯). বম: পূর্বনিবাস মায়ানমার। আনুমানিক ১৮৩৮ সালের দিকে আসে।
(১০). ম্রো/মুরং: পূর্বনিবাস মায়ানমার। আনুমানিক ১৭ শতকের দিকে আসে।
(১১). রাখাইন/মগ: পূর্বনিবাস মায়ানমার। ১৭৮৪ সালের দিকে আসে।
(১২). কুকি: পূর্বনিবাস মায়ানমার।
সংক্ষিপ্ত এ ইতিহাস হতে সহজেই বুঝা যায়, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো এদেশের অধিবাসী নয়। ২টি উপজাতি ভারত থেকে এসেছে আর বাকি সবই মায়ানমারের।
একইভাবে ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, সমতলের উপজাতীয় সম্প্রদায় যেমন সাঁওতাল, গারো, হাজং, মনিপুরী প্রভৃতির বাংলাদেশে আগমনের ইতিহাস তিন-চারশ’ বছরের বেশি নয়। কাজেই উপযুক্ত আলোচনায় প্রমাণিত হয় যে- আভিধানিকভাবে বাংলাদেশের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী কোনোভাবেই এখানকার স্বদেশজাত বা ভূমিপুত্র বা আদিবাসী নয়। উপজাতি গবেষক ও নৃতত্ত্ববিদ জঐঝ ঐঁঃপযরংড়হ (১৯৬০), ঞঐ খবরিহ (১৮৬৯), অমেরেন্দ্র লাল খিসা, ঔধভভধ (১৯৮৯) এবং অযসবফ (১৯৫৯) প্রমুখের লেখা, গবেষণাপত্র, থিসিস এবং রিপোর্ট বিশ্লেষণে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়: উপজাতীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো আদি অধিবাসী নয়। তারা সবাই একবাক্যে বলেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজাতীয়রা নিকট অতীতের কয়েক দশক থেকে নিয়ে মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে এদেশে স্থানান্তরিত হয়ে অভিবাসিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব উপজাতীয় জনগোষ্ঠীগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এসব জনগোষ্ঠীগুলো প্রায় সবাই যুদ্ধবিগ্রহ এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার ফলে তাদের পুরাতন বসতিস্থান থেকে এখানে পালিয়ে এসেছে। নতুবা এক জনগোষ্ঠী অন্য জনগোষ্ঠীর পশ্চাৎধাবন করে আক্রমণকারী হিসেবে এদেশে প্রবেশ করেছে। (Huchinson 1909, Bernot 1960 and Risley 1991)
এতএব, আজ যারা উপজাতিদেরকে আদিবাসী বলে অপপ্রচার করছে, তারা ইতিহাস সম্পর্কে চরম গন্ডমূর্খ ও বিদেশী অপশক্তির গোলাম। বাংলাদেশ সরকারের উচিত- উপজাতি সন্ত্রাসীদের নাগরিকত্ব বাতিল করে তাদের পূর্বনিবাস মায়ানমারে পাঠিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রামে ঠাঁই দেয়া। সরকার দেশপ্রেমিক হলে তা-ই করবে; নচেৎ করবে না।

Kommentarer
Skicka en kommentar