লীগের আভ্যন্তরীণ ডি-মরালাইজেশন এবং বিএনপির ন্যায় পতনের পূর্বাভাস
লীগের আভ্যন্তরীণ ডি-মরালাইজেশন এবং বিএনপির ন্যায় পতনের পূর্বাভাস
==
নিচের ছবিটি ফেনী আওয়ামী লীগের এক সাবেক কর্মীর, যে দুধ দিয়ে গোসল করে আর আওয়ামী লীগ করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছে। সে আওয়ামী লীগ ছাড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে যে, আওয়ামী লীগ এখন হিন্দুতোষণ করছে। প্রশাসনের সব জায়গায় হিন্দু বসিয়েছে। তার দল এখন নাস্তিকদের দলে পরিণত হয়েছে।
==
নিচের ছবিটি ফেনী আওয়ামী লীগের এক সাবেক কর্মীর, যে দুধ দিয়ে গোসল করে আর আওয়ামী লীগ করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছে। সে আওয়ামী লীগ ছাড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে যে, আওয়ামী লীগ এখন হিন্দুতোষণ করছে। প্রশাসনের সব জায়গায় হিন্দু বসিয়েছে। তার দল এখন নাস্তিকদের দলে পরিণত হয়েছে।
এই স্ট্যাটাসটি দেখে আমার মনে হয়েছে, আওয়ামী লীগ আসলে বিএনপির পতন থেকে কোন শিক্ষা নিতে পারেনি, তাই সেও একই পথের যাত্রী হয়েছে। বিএনপির পতনের মূল কারণ হলো, সে ক্ষমতায় থাকার সময় তার নিজ দলের নেতাকর্মীদের ডি-মরালাইজ করেছিল, যে কারণে বর্তমানে বিএনপির বিপদের সময় তারা কেউই মাঠে নামছে না। পলাশীর প্রান্তরের মতোই দলের মূল মূল নেতারা এখন চেয়ে চেয়ে অবলোকন করছে বিএনপির পতন।
বিএনপির কর্মীরাও যে সত্যটি অকপটে স্বীকার করে, তা হলো তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অতিরিক্ত পুত্রস্নেহে দলের বর্ষীয়ার নেতাকর্মীদের উপর তারেক জিয়াকে স্থান দিয়েছিলেন। এর ফলে বিএনপির বড় বড় নেতারাই হয়ে পড়েছিল ডিস-হার্টেড, ডি-মরালাইজড। নিজ দলের প্রতিই তারা হয়ে পড়েছিল বীতশ্রদ্ধ। তাই আজ বিএনপির পতনের সময় সাদেক হোসেন খোকার মতো নেতারা কিংবা শমসের মুবিন চৌধুরীর মতো মাস্টারমাইন্ডরা সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকা পালন করছে। ঠিক একই ঘটনা ঘটছে বর্তমান সরকারের আমলে, যেখানে তারেক জিয়ার জায়গায় রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়। হিন্দুরাই বর্তমান সরকারের বাপ-মা-ভাই-বোন সব। এই হিন্দুদেরকে উপরে তুলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ এখন তার সবচেয়ে কাছের লোকটিকেও অপমান করছে। ক্রিকেটার রকিবুল, যে শেখ কামালের বন্ধু এবং আওয়ামী লীগের লোকজন যাকে দেখলে সালাম দিত, তাকে এক হিন্দু সাংবাদিকের কারণে অপমান করা হল। এক হিন্দু শ্যামল কান্তির পক্ষ নিতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারকে অপমান করা হল, যারা নিঃসন্দেহে দশকের পর দশক ধরে ছিল আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত যোদ্ধা।
আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের নেতৃত্ব দান করছে যারা, তাদেরকে হিন্দুর মর্জি অনুযায়ী দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই এরকম সংবাদ আমাদের চোখে আসছে। সাতক্ষীরায় হিন্দু ডাক্তার শম্পা রাণীর অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় বহিষ্কার হয়েছে ছাত্রলীগের শ্যামনগর মহসিন কলেজের সভাপতি আব্দুস সবুর এবং ছাত্রলীগের করালোয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। কিছুদিন আগেই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘যার যার ধর্ম তাকে তাকে পালন করার’ উপদেশ দিয়ে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তরের উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা হৃতিকা রহমান।
সম্প্রতি ‘পূজায় কোন মুসলমান যেতে পারে না’ এই স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শিল্পপতি সারফুল ইসলাম রাসেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তার নিজের দলই। এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, “আমার কাছে আমার দলীয় পদটা বড় না। আল্লাহকে রাজি-খুশির জন্য ঈমানই আমার কাছে বড়।” এখানে তিনি স্পষ্টভাবেই নিজ দল ও ধর্মের মধ্যে পার্থক্য করে দেখিয়েছেন। আওয়ামী লীগ যদি হিন্দুতোষণ না করত, তাহলে শারফুল ইসলাম রাসেলরা এই পার্থক্য করতো না। নিজের দলের জন্য তারা ত্যাগ স্বীকার করতেও প্রস্তুত থাকত। কিন্তু আওয়ামী লীগ এদেরকে ডি-মরালাইজ করছে, যার খেসারত ভবিষ্যতে বিএনপির মতোই আওয়ামী লীগকেও দিতে হবে।
এদেশে বর্তমানে এমন অবস্থা হয়েছে যে, ঘুষ না দিতে পারলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও চাকরি পায় না। কক্সবাজারের এক ছাত্রলীগ নেতা আক্ষেপ করে বলেছে, যদি দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেও ঘুষ দিয়ে চাকরি নিতে হয়, তাহলে আর দল করা কেন? (https://goo.gl/gi5IKY)
কিন্তু হিন্দুটির জন্য এতোকিছু লাগে না, তার আকাটা ধোনই তার চাকরি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট। সে কিন্তু মার খায় না, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে না। হিন্দু আর ইহুদী, এই দুই জাতি কখনো সম্মুখযুদ্ধে যায় না। কিন্তু লাভের গুড়টা তারাই খেয়ে থাকে। ফিল্ড লেভেলের সমস্ত চাকরি এখন হিন্দুদের দেয়া হচ্ছে, প্রকৃত লীগ কর্মীরা পাচ্ছে কাঁচকলা। এর ফল অদূর ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ পাবে, কারণ এক মাঘে কিন্তু শীত যায় না। আওয়ামী লীগেরও বিপদের দিন আসবে, কিন্তু তখন তার পাশে দাঁড়ানোর মতো আর কেউই অবশিষ্ট থাকবে না।
আর হিন্দুটা তো থাকবেই না। বিপদ দেখলেই সে তার গাট্টিবোঁচকা নিয়ে পাড়ি দিবে তার বাপের দেশে, যেভাবে তার পূর্বপুরুষরা একাত্তরের যুদ্ধের সময় যুদ্ধ না করে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল।
(পুনশ্চঃ এরদোগানের জন্য তার জনগণ ট্যাঙ্কের তলে জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত, কারণ পশ্চিমাদের তোয়াজ করতে গিয়ে এরদোগান তার জনগণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি, যেটা এখন আওয়ামী লীগ হিন্দুদের তোয়াজ করতে গিয়ে করছে। এরদোগান তার জনগণকে দিয়েছে, বিনিময়ে বিপদের সময় সে জনগণকে তার পাশে পেয়েছে। সে যদি জনগণকে না দিয়ে কেবল পশ্চিমাদেরকে দিত, তাহলে তার জনগণও ডি-মরালাইজ হয়ে যেত, আর আমরাও দেখতাম সেক্যুলার সেনাবাহিনীর হাতে ফের তুরষ্কের কুক্ষিগত হওয়ার দৃশ্য)
(পুনশ্চঃ এরদোগানের জন্য তার জনগণ ট্যাঙ্কের তলে জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত, কারণ পশ্চিমাদের তোয়াজ করতে গিয়ে এরদোগান তার জনগণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি, যেটা এখন আওয়ামী লীগ হিন্দুদের তোয়াজ করতে গিয়ে করছে। এরদোগান তার জনগণকে দিয়েছে, বিনিময়ে বিপদের সময় সে জনগণকে তার পাশে পেয়েছে। সে যদি জনগণকে না দিয়ে কেবল পশ্চিমাদেরকে দিত, তাহলে তার জনগণও ডি-মরালাইজ হয়ে যেত, আর আমরাও দেখতাম সেক্যুলার সেনাবাহিনীর হাতে ফের তুরষ্কের কুক্ষিগত হওয়ার দৃশ্য)

Kommentarer
Skicka en kommentar