শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদীরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু। (৬)
শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদীরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু।
বিশ্ব নিয়ন্ত্রণে ইহুদী পরিকল্পিত নীল নকশা লিপিবদ্ধ হয়েছে একশত বছর পূর্বে তাদের প্রণীত ‘প্রটোকলে’।
বর্তমানে মুসলমানদের কোণঠাসা পরিণতি ও ইসলাম বৈরী মনোভাব তৈরির যাবতীয় গভীর ষড়যন্ত্র ‘প্রটোকলে’ খোলামেলা লিপিবদ্ধ করা আছে।
যা এখন কেবল ভবিষ্যদ্বাণীর মত ফলছে।
মুসলমান নিজেদের বর্তমান দুরবস্থা চিন্তা করলেই দেখতে পাবে- (৬)
‘আর কিছু নয়; তারা ইহুদী প্রটোকলের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে মাত্র।’
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ।
বিশ্ব নিয়ন্ত্রণে ইহুদী পরিকল্পিত নীল নকশা লিপিবদ্ধ হয়েছে একশত বছর পূর্বে তাদের প্রণীত ‘প্রটোকলে’।
বর্তমানে মুসলমানদের কোণঠাসা পরিণতি ও ইসলাম বৈরী মনোভাব তৈরির যাবতীয় গভীর ষড়যন্ত্র ‘প্রটোকলে’ খোলামেলা লিপিবদ্ধ করা আছে।
যা এখন কেবল ভবিষ্যদ্বাণীর মত ফলছে।
মুসলমান নিজেদের বর্তমান দুরবস্থা চিন্তা করলেই দেখতে পাবে- (৬)
‘আর কিছু নয়; তারা ইহুদী প্রটোকলের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে মাত্র।’
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ।
গত সংখ্যার পর)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বশান্তির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের এই হুমকি ইসলাম ও সাধারণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে। মুসলমানদের দেশ, সম্পদ, স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে। সরাসরি ইসলামের উপর, মুসলমানদের উপর আক্রমণ করবে এ সাহস মার্কিন ইহুদী-খ্রিস্টানদের নেই। কিন্তু আক্রমণ করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তারা। অথচ বাইরে তাদের ভদ্র খোলস। এই খোলস আগলে রাখার জন্যেই তাদের দরকার একটু ছূতোর। আর সে ছূতোরও অভাব হয় না তাদের। কিছু মুসলিম রাষ্ট্রের কর্ণধার মুনাফিকরা নিজেরাই এ ছূতো হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদেরকে উপলক্ষ করে পুরো দেশ ছারখার করে দিচ্ছে মার্কিনি ইহুদীরা। কিন্তু তাদের কিছুই হচ্ছে না। যে উসামাকে আর মোল্লা উমরকে উপলক্ষ করে গোটা আফগানিস্তানকে তামা বানিয়ে ফেলা হয়, আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষকে বিপর্যস্ত করা হলো কিন্তু নাটের গুরু মুনাফিক উসামা আর মোল্লা উমরের কিছুই হলো না। একইভাবে সাদ্দামকে উপলক্ষ করে আমেরিকা ইরাক আক্রমণের প্রক্রিয়া চালায়। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি যে, উসামার মত সাদ্দামও সিআইএ-এর চর। সেই মূলত আমেরিকাকে ইরাক আক্রমণের সুযোগ করে দেয়। যদিও বাইরে সাদ্দামের হম্বিতম্বি সাধারণ মুসলমানকে অনুপ্রাণিত করে; আসলে এটাও খোলস মাত্র। যা মার্কিন ইহুদীদের সূক্ষ্ম ও গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অতীব দরকার। আর ওরা যে কত সুদূর প্রসারী ও গভীর ষড়যন্ত্র করে বাইরের দৃশ্যপট অন্য রকম রেখে ওদের পরিকল্পনা সফল করে তা ওদের অতীত ইতিহাস প্রমাণ করে। এ ধারাবাহিকতায় ওদের ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস নিয়ে লিখা হচ্ছিলো। এ সংখ্যায় পরবর্তী বক্তব্য দেয়া হলো- ১৯৪৭ সালের ২৮শে এপ্রিল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশন বসে। ফিলিস্তিনের অবস্থা তদন্ত করে ওই বছরই সেপ্টেম্বর নাগাদ জাতিসংঘের নিকট রিপোর্ট পেশ করার জন্য উক্ত অধিবেশনে এগার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটির সদস্য ছিল অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চেকশ্লোভাকিয়া, গুয়েতেমালা, ভারত, ইরান, নেদারল্যান্ড, পেরু, সুইডেন, উরুগুয়ে ও যুগোশ্লাভিয়া। ইহুদী সম্প্রদায় ওই সময় চীৎকার করে বলতে থাকে যে, জাতিসংঘ যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক না কেন, ফিলিস্তিনে ইহুদীদের স্বাধীন রাষ্ট্র ব্যতীত অন্য কোন প্রস্তাবেই তারা সম্মত হবে না। যথাসময়ে কমিটি রিপোর্ট প্রদান করে। রিপোর্টে কমিটির সদস্যগণ দুু’ভাগে বিভক্ত হয়ে দু’ধরলের সুপারিশ করেন। কানাডা, চেকশ্লোভাকিয়া, পেরু, গুয়েতেমালা, নেদারল্যান্ড ও উরুগুয়ে ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করে দুটি পৃথক রাষ্ট্র কায়িম করার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে ভারত, যুগোশ্লাভিয়া ও ইরান একটি ফেডারেল রাষ্ট্র গঠনের সুপারিশ করে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ উভয় প্রস্তাবকে একটি এডহক কমিটির নিকট পাঠিয়ে দেয়। এ কমিটিতেও গুয়েতেমালা ও উরুগুয়ে ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করার জন্য জোরদার ওকালতি শুরু করে। (পরবর্তীকালে এদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য বর্র্তমান ইসরাইল রাষ্ট্রে গুয়েতেমালা ও উরুগুয়ের নামে অনেক রাস্তা-ঘাটের নামকরণ করা হয়েছে) পাকিস্তানের প্রতিনিধি এ প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন। তুমুল বিতর্কের পর ভোট গ্রহণ করা হয় এবং ২৯-১৩ ভোটে ফিলিস্তিন বিভক্তির প্রস্তাব পাস হয়ে যায়। রাশিয়া ও আমেরিকা উভয়েই বিভাগের পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে প্রস্তাবটি পাস না হলে তা কার্যকরী হয় না বিধায় ১৯৪৭ সালের ২৬শে নভেম্বর তারিখে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি আবার বিবেচনা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই তারিখ পর্যন্ত পরিস্থিতি ইহুদীদের অনুকূলে ছিল না। তাই বৃহৎ শক্তিগুলো নানা প্রকার টালবাহানা করে ভোট গ্রহণে বিলম্ব করতে থাকে। অন্যদিকে ইহুদী নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে জাতিসংঘ সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি অনুকূলে আনার জন্য প্রবল চেষ্টা শুরু করে দেয়। আমেরিকাও ওই সময় ইহুদীদের পক্ষে ভোটদানের জন্য সদস্য দেশগুলোর উপর চাপ দিতে থাকে। ২৯শে নভেম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতি ইহুদীদের অনকূলে এসে যায় এবং ওই দিনই ৩৩-১৩ ভোটে ফিলিস্তিন বিভাগের প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১০টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে এবং একটি দেশ পরিষদে অনুপস্থিত ছিল। প্রস্তাব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই পরিষদে প্রচ- হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায়। আরব রাষ্ট্রগুলো এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে স্পষ্টত অস্বীকৃতি জানায়। পরস্পর বিবদমান রাশিয়া ও আমেরিকা ফিলিস্তিন বিভাগ প্রশ্নে সর্বপ্রথম একমত হয়। এ সিদ্ধান্তের পর ফিলিস্তিনে ইহুদীদের অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে যায়! ইহুদী জঙ্গি সন্ত্রাসবাদী দলগুলো জোর-জবরদস্তি করে মুসলমানদের বাড়ি-ঘর ও ধন-সম্পত্তি দখল করে নেয়। জাতিসংঘ এ প্রস্তাব গ্রহণের পর মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে ১৭ হাজার মুসলমান শহীদ হন। সমস্ত মুসলিম জাহান এ অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠে। তাই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আবার বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের ২০শে এপ্রিল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন প্রতিনিধি ফিলিস্তিন বিভাগের বাস্তবায়ন সাময়িকভাবে স্থগিত রেখে ফিলিস্তিনকে সামরিকভাবে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আনার প্রস্তাব পেশ করেন। এরপর বেশ কিছু দিন যাবৎ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিষয়টি সম্পর্কে আলাপ আলোচনার প্রহসন চলতে থাকে। ১৪ই মে রাত বারোটায় ফিলিস্তিনে ব্রিটেনের অছিগিরি শেষ হয়ে যাবার কথা ছিল। তাই ওই তারিখের মধ্যেই একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়ে। এদিকে ইহুদী নেতা ওয়াইজম্যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিস্টার ট্রুম্যানের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে একটা নয়া ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
নির্দিষ্ট সময় (১৪ই মে রাত ১২টায়) ফিলিস্তিনে ব্রিটেনের অছিগিরির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ওয়াশিংটনের সময় মুতাবিক তখন সকাল ৬টা। এক মিনিট পরই ইহুদী নেতা বেন-গুরিয়ান স্বাধীন ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করে এবং এর মাত্র দশ মিনিট পর ওয়াশিংটন সময় সকাল ৬টা ১১ মিনিটে প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান ইসরাইলকে স্বীকৃতি দান করে। ঠিক ওই সময় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন প্রতিনিধি কর্তৃক ফিলিস্তিনকে সাময়িকভাবে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আনার প্রস্তাবটি সম্পর্কে আলোচনা চলছিল। এদিকে শান্তি ও ন্যায়নীতির অপর দাবিদার রাশিয়া ও আমেরিকার পর পরই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দান করে। এভাবে পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার দাবিদার দুটি বৃহৎ শক্তি আরব মুসলিমদের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে ইসরাইল রাষ্ট্রকে মুসলিম জাহানের বুকে বিষাক্ত ছুরির মতো বসিয়ে দেয়।
-০-
“আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রুরূপে ইহুদী ও মুশরিকদের পাবেন।” ‘সূরা মায়িদা’-এর ৯২ নম্বর আয়াত শরীফ-এর আলোকে ইহুদীদের ষড়যন্ত্রমূলক এ প্রটোকলের ছত্রে ছত্রে পাওয়া যায় ইহুদীদের ষড়যন্ত্রের কলা-কৌশল।
উল্লেখ্য, মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে ওরা সবসময় দুটি জিনিসের উপর প্রাধান্য দিয়েছে। (এক) অর্থনীতি তথা ব্যাংক-বীমা। (দুই) সংবাদপত্র। এজন্য প্রটোকলের এক জায়গায় নয় বরং বহু জায়গায় ওরা সংবাদপত্রের উপর কৌশলনীতি গ্রহণ করেছে। এ সম্পর্কে প্রটোকলে বর্ণিত ওদের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের শিকল তুলে ধরা হলো- সংবাদপত্রের বর্তমান ভূমিকা কি? মানুষের ভাবাবেগকে উত্তেজিত করা বা ক্ষেপিয়ে তোলার কাজই সংবাদপত্র করে যাচ্ছে। আমাদের অথবা অন্য কোন স্বার্থপর দলের স্বার্থেই সংবাদপত্র এ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। সংবাদপত্র সাধারণত প্রাণহীন ন্যায়নীতি-বিরোধী ও মিথ্যা প্রচারের কাজে নিয়োজিত। সংবাদপত্র কার স্বার্থে কাজ করছে, জনগণ তা বুঝতেই পারে না। আমরা সংবাদপত্রকে কঠোর আইনের বাঁধনে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবো। ছাপাখানার যাবতীয় কাজ সম্পর্কেও আমরা এ ব্যবস্থাই অবলম্বন করবো। কেননা, ছাপাখানা থেকে যদি স্বাধীনভাবে বই-পুস্তক ও বিজ্ঞাপনাদি ছাপা হয়, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চলতে থাকবে। প্রচার কার্যের উপকরণাদি বর্তমান যুগে খুবই ব্যয়সঙ্কুল ব্যাপার। কিন্তু আমরা এটিকে রাষ্ট্রের জন্য খুব লাভজনক ব্যবসায়ে পরিণত করবো। আমরা প্রেসের উপর বিশেষ কর আরোপ করবো। সংবাদপত্র বা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার জন্য জামানতস্বরূপ নগদ টাকা আদায় করবো এবং তাদের কাছ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে কোন আক্রমণাত্মক ভূমিকা অবলম্বন না করার নিশ্চয়তা গ্রহণ করবো। এরপরও যদি আমাদের উপর কোন আক্রমণ করা হয় (যদিও তা অসম্ভব), তবে আমরা নির্মমভাবে তাদের উপর জরিমানা আরোপ করবো। বিশেষ কর, জামানতের টাকা, জরিমানা ইত্যাদি ইত্যাদি খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ রাষ্ট্রীয় তহবিলে জমা হতে থাকবে। দলীল মুখপত্রগুলো প্রচারের কাজে এভাবে দেদার অর্থ ব্যয়ে হয়তো রাজি হবে না। এ ধরনের সংবাদপত্র আমাদের উপর প্রথম দফা হামলা করলে আমরা তাদের মাফ করবো, কিন্তু দ্বিতীয় দফায় পত্রিকা বন্ধ করে দেবো। কারো শক্তি নেই যে, আমাদের সরকারের কার্যক্রমকে ভ্রান্ত আখ্যা দিতে পারে। পত্রিকা বন্ধ করার জন্য আমরা যে যুক্তি পেশ করবো তা হচ্ছে এই যে, অসময়োচিত ও অন্যায়ভাবে উক্ত পত্রিকা জনমনে আমাদের বিরুদ্ধে অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। আমি অনুরোধ করছি, ভাল করে শুনে রাখো, আমাদের সমালোচনাকারীদের মধ্যে ওইসব পত্রিকাও শামিল থাকবে, যেগুলো আমাদের স্বার্থে পরিচালিত। কিন্তু তারা ওইসব বিষয়েই সমালোচনা করবে, যেগুলো সম্পর্কে আমরা পূর্বাহ্নেই নীতি পরিবর্তনের ফায়সালা করেছি। আমাদের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া একটি খবরও জনসাধারণের কাছে পৌঁছতে পারবে না। এমনকি এখনও আমরা একাজে অনেক দূর অগ্রসর হয়ে গেছি। মাত্র অল্প কয়েকটি সংবাদ সরবরাহ প্রতিষ্ঠানই দুনিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে খবর সংগ্রহ ও বিভিন্ন স্থানে তা পরিবেশন করে। এগুলোকে আমরা এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো যে, এগুলো একমাত্র আমাদের নির্দেশিত তথ্যই পরিবেশন করবে। যদি এখনই আমরা অ-ইহুদী তথা মুসলিম সমাজের লোকদের মন-মগজে এতটা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়ে থাকি যে, তারা তাদের নাকের ডগায় আমাদের লাগানো রঙিন চশমার মাধ্যমেই বিশ্ব পরিস্থিতি অবলোকনে বাধ্য হয় এবং এখনই যদি আমরা এই নির্বোধ অ-ইহুদী তথা মুসলিম সমাজের সকল রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্যাবলী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়ে থাকি, তাহলে আমরা যে সময় আমাদেরই বাদশাহর মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্বসহকারে শাসন করবো সে সময় আমাদের প্রতাপ কত দুর্দান্ত হবে, তা সহজেই অনুমেয়। আমরা পুনরায় প্রেস সংক্রান্ত আলোচনায় প্রবৃত্ত হচ্ছি। পুস্তক প্রকাশক, লাইব্রেরিয়ান অথবা মুদ্রাকর হতে যারা ইচ্ছুক, তাদের প্রত্যেককেই আমাদের নিকট থেকে ‘ডিপ্লোমা’ গ্রহণ করে ধন্য হতে হবে। আর এ ‘ডিপ্লোমা’ আমরা আমাদের মর্জিমাফিক যে কোন সময় বাতিল করতে পারবো। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে মানুষের চিন্তাধারাকে আমাদের সরকারের প্রচারিত শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিশীল করা হবে এবং তার ফলে জনসাধারণকে উন্নয়নের সুফল সম্পর্কে আঁকাবাঁকা পথে পরিচালিত করে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারবে না। আমাদের প্রত্যেকেই একথা জানে যে, উন্নয়নের ধারণা নির্বোধ কল্পনা থেকে উদ্ভূত। এগুলো মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং শাসক ও শাসিতের মধ্যস্থিত সহযোগিতাকে নৈরাজ্যের পর্যায়ে পৌঁছিয়ে দেয়। কেননা উন্নয়ন কথাটি সকল প্রকার তৎপরতাকেই উৎসাহিত করে এবং এর কোন সীমারেখা নেই। তথাকথিত উদার মতাবলম্বীগণও নৈরাজ্যবাদী বাস্তব ক্ষেত্রে এরূপ না হলেও চিন্তার ক্ষেত্রে এরা তাই। কেননা প্রত্যেকেই স্বাধীনতার সুবিধা ভোগ করার জন্য উদগ্রীব এবং এজন্য তারা যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার লাইসেন্স পেয়ে থাকে। আর লাইসেন্স হচ্ছে প্রতিবাদের খাতিরে প্রতিবাদ। এবার আমরা সাময়িক পত্রিকাদির বিষয়ে আলোচনা করছি। আমরা এদের উপর স্ট্যাম্প ট্যাক্স (ংঃধসঢ় ঃধী) নির্ধারণ করবো, এদের নিট থেকে জামানতের টাকা তলব করবো এবং ত্রিশ বা এর কম পরিমাণ কাগজে ছাপানো পুস্তিকাগুলোকে দ্বিগুণ কর দিতে বাধ্য করবো। এতে ছাপানো আকারে নিকৃষ্ট ধরনের বিষয় পরিবেশনকারী পত্রিকার সংখ্যা একদিকে কমে যাবে এবং লেখকদেরও আমরা কম পরিমাণ লিখতে বাধ্য করবো। কেননা দীর্ঘ রচনা সম্বলিত পুস্তকের দাম বেশি হবে। আর দাম বেশি হলে কেউ তা খরিদ করে পড়বে না। অপরদিকে আমরা জনগণের মন-মগজকে আমদের স্বার্থসিদ্ধির অনুকূলে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সস্তা দামের বই পুস্তক ও পত্র-পত্রিকা প্রকাশ করবো এবং সস্তার দরুন সকলেই তা পড়বে।
নির্দিষ্ট সময় (১৪ই মে রাত ১২টায়) ফিলিস্তিনে ব্রিটেনের অছিগিরির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ওয়াশিংটনের সময় মুতাবিক তখন সকাল ৬টা। এক মিনিট পরই ইহুদী নেতা বেন-গুরিয়ান স্বাধীন ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করে এবং এর মাত্র দশ মিনিট পর ওয়াশিংটন সময় সকাল ৬টা ১১ মিনিটে প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান ইসরাইলকে স্বীকৃতি দান করে। ঠিক ওই সময় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন প্রতিনিধি কর্তৃক ফিলিস্তিনকে সাময়িকভাবে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আনার প্রস্তাবটি সম্পর্কে আলোচনা চলছিল। এদিকে শান্তি ও ন্যায়নীতির অপর দাবিদার রাশিয়া ও আমেরিকার পর পরই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দান করে। এভাবে পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার দাবিদার দুটি বৃহৎ শক্তি আরব মুসলিমদের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে ইসরাইল রাষ্ট্রকে মুসলিম জাহানের বুকে বিষাক্ত ছুরির মতো বসিয়ে দেয়।
-০-
“আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রুরূপে ইহুদী ও মুশরিকদের পাবেন।” ‘সূরা মায়িদা’-এর ৯২ নম্বর আয়াত শরীফ-এর আলোকে ইহুদীদের ষড়যন্ত্রমূলক এ প্রটোকলের ছত্রে ছত্রে পাওয়া যায় ইহুদীদের ষড়যন্ত্রের কলা-কৌশল।
উল্লেখ্য, মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে ওরা সবসময় দুটি জিনিসের উপর প্রাধান্য দিয়েছে। (এক) অর্থনীতি তথা ব্যাংক-বীমা। (দুই) সংবাদপত্র। এজন্য প্রটোকলের এক জায়গায় নয় বরং বহু জায়গায় ওরা সংবাদপত্রের উপর কৌশলনীতি গ্রহণ করেছে। এ সম্পর্কে প্রটোকলে বর্ণিত ওদের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের শিকল তুলে ধরা হলো- সংবাদপত্রের বর্তমান ভূমিকা কি? মানুষের ভাবাবেগকে উত্তেজিত করা বা ক্ষেপিয়ে তোলার কাজই সংবাদপত্র করে যাচ্ছে। আমাদের অথবা অন্য কোন স্বার্থপর দলের স্বার্থেই সংবাদপত্র এ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। সংবাদপত্র সাধারণত প্রাণহীন ন্যায়নীতি-বিরোধী ও মিথ্যা প্রচারের কাজে নিয়োজিত। সংবাদপত্র কার স্বার্থে কাজ করছে, জনগণ তা বুঝতেই পারে না। আমরা সংবাদপত্রকে কঠোর আইনের বাঁধনে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবো। ছাপাখানার যাবতীয় কাজ সম্পর্কেও আমরা এ ব্যবস্থাই অবলম্বন করবো। কেননা, ছাপাখানা থেকে যদি স্বাধীনভাবে বই-পুস্তক ও বিজ্ঞাপনাদি ছাপা হয়, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চলতে থাকবে। প্রচার কার্যের উপকরণাদি বর্তমান যুগে খুবই ব্যয়সঙ্কুল ব্যাপার। কিন্তু আমরা এটিকে রাষ্ট্রের জন্য খুব লাভজনক ব্যবসায়ে পরিণত করবো। আমরা প্রেসের উপর বিশেষ কর আরোপ করবো। সংবাদপত্র বা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার জন্য জামানতস্বরূপ নগদ টাকা আদায় করবো এবং তাদের কাছ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে কোন আক্রমণাত্মক ভূমিকা অবলম্বন না করার নিশ্চয়তা গ্রহণ করবো। এরপরও যদি আমাদের উপর কোন আক্রমণ করা হয় (যদিও তা অসম্ভব), তবে আমরা নির্মমভাবে তাদের উপর জরিমানা আরোপ করবো। বিশেষ কর, জামানতের টাকা, জরিমানা ইত্যাদি ইত্যাদি খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ রাষ্ট্রীয় তহবিলে জমা হতে থাকবে। দলীল মুখপত্রগুলো প্রচারের কাজে এভাবে দেদার অর্থ ব্যয়ে হয়তো রাজি হবে না। এ ধরনের সংবাদপত্র আমাদের উপর প্রথম দফা হামলা করলে আমরা তাদের মাফ করবো, কিন্তু দ্বিতীয় দফায় পত্রিকা বন্ধ করে দেবো। কারো শক্তি নেই যে, আমাদের সরকারের কার্যক্রমকে ভ্রান্ত আখ্যা দিতে পারে। পত্রিকা বন্ধ করার জন্য আমরা যে যুক্তি পেশ করবো তা হচ্ছে এই যে, অসময়োচিত ও অন্যায়ভাবে উক্ত পত্রিকা জনমনে আমাদের বিরুদ্ধে অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। আমি অনুরোধ করছি, ভাল করে শুনে রাখো, আমাদের সমালোচনাকারীদের মধ্যে ওইসব পত্রিকাও শামিল থাকবে, যেগুলো আমাদের স্বার্থে পরিচালিত। কিন্তু তারা ওইসব বিষয়েই সমালোচনা করবে, যেগুলো সম্পর্কে আমরা পূর্বাহ্নেই নীতি পরিবর্তনের ফায়সালা করেছি। আমাদের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া একটি খবরও জনসাধারণের কাছে পৌঁছতে পারবে না। এমনকি এখনও আমরা একাজে অনেক দূর অগ্রসর হয়ে গেছি। মাত্র অল্প কয়েকটি সংবাদ সরবরাহ প্রতিষ্ঠানই দুনিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে খবর সংগ্রহ ও বিভিন্ন স্থানে তা পরিবেশন করে। এগুলোকে আমরা এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো যে, এগুলো একমাত্র আমাদের নির্দেশিত তথ্যই পরিবেশন করবে। যদি এখনই আমরা অ-ইহুদী তথা মুসলিম সমাজের লোকদের মন-মগজে এতটা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়ে থাকি যে, তারা তাদের নাকের ডগায় আমাদের লাগানো রঙিন চশমার মাধ্যমেই বিশ্ব পরিস্থিতি অবলোকনে বাধ্য হয় এবং এখনই যদি আমরা এই নির্বোধ অ-ইহুদী তথা মুসলিম সমাজের সকল রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্যাবলী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়ে থাকি, তাহলে আমরা যে সময় আমাদেরই বাদশাহর মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্বসহকারে শাসন করবো সে সময় আমাদের প্রতাপ কত দুর্দান্ত হবে, তা সহজেই অনুমেয়। আমরা পুনরায় প্রেস সংক্রান্ত আলোচনায় প্রবৃত্ত হচ্ছি। পুস্তক প্রকাশক, লাইব্রেরিয়ান অথবা মুদ্রাকর হতে যারা ইচ্ছুক, তাদের প্রত্যেককেই আমাদের নিকট থেকে ‘ডিপ্লোমা’ গ্রহণ করে ধন্য হতে হবে। আর এ ‘ডিপ্লোমা’ আমরা আমাদের মর্জিমাফিক যে কোন সময় বাতিল করতে পারবো। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে মানুষের চিন্তাধারাকে আমাদের সরকারের প্রচারিত শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিশীল করা হবে এবং তার ফলে জনসাধারণকে উন্নয়নের সুফল সম্পর্কে আঁকাবাঁকা পথে পরিচালিত করে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারবে না। আমাদের প্রত্যেকেই একথা জানে যে, উন্নয়নের ধারণা নির্বোধ কল্পনা থেকে উদ্ভূত। এগুলো মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং শাসক ও শাসিতের মধ্যস্থিত সহযোগিতাকে নৈরাজ্যের পর্যায়ে পৌঁছিয়ে দেয়। কেননা উন্নয়ন কথাটি সকল প্রকার তৎপরতাকেই উৎসাহিত করে এবং এর কোন সীমারেখা নেই। তথাকথিত উদার মতাবলম্বীগণও নৈরাজ্যবাদী বাস্তব ক্ষেত্রে এরূপ না হলেও চিন্তার ক্ষেত্রে এরা তাই। কেননা প্রত্যেকেই স্বাধীনতার সুবিধা ভোগ করার জন্য উদগ্রীব এবং এজন্য তারা যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার লাইসেন্স পেয়ে থাকে। আর লাইসেন্স হচ্ছে প্রতিবাদের খাতিরে প্রতিবাদ। এবার আমরা সাময়িক পত্রিকাদির বিষয়ে আলোচনা করছি। আমরা এদের উপর স্ট্যাম্প ট্যাক্স (ংঃধসঢ় ঃধী) নির্ধারণ করবো, এদের নিট থেকে জামানতের টাকা তলব করবো এবং ত্রিশ বা এর কম পরিমাণ কাগজে ছাপানো পুস্তিকাগুলোকে দ্বিগুণ কর দিতে বাধ্য করবো। এতে ছাপানো আকারে নিকৃষ্ট ধরনের বিষয় পরিবেশনকারী পত্রিকার সংখ্যা একদিকে কমে যাবে এবং লেখকদেরও আমরা কম পরিমাণ লিখতে বাধ্য করবো। কেননা দীর্ঘ রচনা সম্বলিত পুস্তকের দাম বেশি হবে। আর দাম বেশি হলে কেউ তা খরিদ করে পড়বে না। অপরদিকে আমরা জনগণের মন-মগজকে আমদের স্বার্থসিদ্ধির অনুকূলে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সস্তা দামের বই পুস্তক ও পত্র-পত্রিকা প্রকাশ করবো এবং সস্তার দরুন সকলেই তা পড়বে।
ওসামার বিন লাদেন আর মোল্লা ওমর সিআইএর এজেন্ট!!!😂🤣😂 হাহাহা । বালের রিসার্চ করেন আপনি । মুসলিমদের বিভ্রান্ত করতে এইসব লেখা লিখে যাচ্ছেন । ওসামা বিন লাদেন হচ্ছে এই যুগের জিহাদের অগ্রগামী পথিক এবং ওমর হচ্ছে সালাউদ্দিন আইয়ুবী দের প্রকৃত উত্তরসূরী । আপনাদের মত যারা ঘরের কোণে বসে জিকির-আজকার করতে ব্যস্ত । তাদের মতো নয় । তারা মুসলিমদের হারানো খেলা খেলাফত ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছে । আর এজন্যই তারা কুফফার আমেরিকা এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের চক্ষুশূলে পরিনত হয়েছে । সুতরাং এইসব ফাউল রিসার্চ বন্ধ করে ন!!!
SvaraRadera